ঝালকাঠিতে চাঁদা না দেয়ায় কোরআনের হাফেজকে নির্যাতন ও পেট্রোল বোমা-লিফলেট দিয়ে পুলিশে দিলো যুবলীগের সন্ত্রাসীরা

১ লাখ টাকা চাঁদা না দিতে পারায় ঝালকাঠির গগন বাজারে আটকে শীর্ষ সন্ত্রাসী-অস্ত্রবাজ তৌহিদুুল ও তার দলবল আটক করে বেধরক মারধরের পর কোরআনের হাফেজ সৈয়দ আহম্মেদ (৫২) কে পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনয়কাঠির যুবলীগ নেতা নামধারী ঝালকাঠির তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী তৌহিদুুল ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তাকে হাতুড়ি পেটার পর কয়েক বোতল পেট্রোল ও জামায়াতে কিছু লিফলেট একটি ব্যাগে দিয়ে পেট্রল বোমা মারার সময় হাতেহাতে আটক করেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে।

অন্যদিকে আহত হাফেজ সৈয়দ আহম্মেদ কে ঝালকাঠি থানার এএসআই মাইনুল উদ্ধার করে আটক অবস্থায় ঝালকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ এ্যাম্বুলেন্সে করে এনে আদালতে সোপর্দ করলে তাকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে আহত হাফেজ সৈয়দ আহম্মেদের কলেজ পড়ুয়া পুত্র মো: মেহেদী হাসান তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করেছে।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ২ ফেব্রুয়ারী আমার পিতা হাফেজ সৈয়দ আহম্মেদ দিনভর বরিশালে গ্রাম্যচিকিৎসক হিসাবে প্রশিক্ষন নিয়ে তার সাথে থাকা ব্যাগে যাবতীয় কাগজপত্র, সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সোলেমানি কিতাব হিসাবে একটি বিভিন্ন রোগশোগের প্রতিকারের জন্য তাবিজের কিতাব, আমার এসএসসি পরীক্ষার্থি বোনকে বরিশালের ফুপাতো বোনের দেয়া নতুন থ্রীপিচ, একটি বিদেশী ঘড়ী, সাথে থাকা নগদ ১১ হাজার ৬শ টাকা সাথে নিয়ে বরিশাল থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে আসে।
রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে বিনয়কাঠি পৌছে টমটমে গগন বাজার এলাকায় পৌছামাত্র পূর্বে থেকে সেখানে ওঁতপেতে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী-অস্ত্রবাজ তৌহিদুুল ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাথে থাকা উল্লেখিত মালপত্র-টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং শালা জামায়াত শিবির , শালা পেট্রোল বোমা মারতে আসছো বলে ডাকচিৎকার করে। সেখান থেকে সন্ত্রাসীরা মটরসাইকেলে তুলে বিনয়কাঠি বাজারে নিয়ে পুনরায় তাকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে মারাক্তক আহত করে।

খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসী তৌহিদুলের সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে তোর বাবার কাছে ১লাখ টাকা চেয়েছিলাম দিলনা, এখোন তাকে প্যাট্রোল বোমা সহ পুলিশের হাতে দিয়ে একলাখ টাকা পুরুস্কার পাবো বলে ফোন কেটে দেয় ও ঝালকাঠি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঝালকাঠি পুলিশের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, একাধিকবার অস্ত্র সহ র‌্যাব-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সন্ত্রাসী চাঁদবাজ তৌহিদুুলে এ চক্রান্তের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রী জাতীয় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু সহ প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্ঠান্তমূলক শান্তি দাবী করেন।



মন্তব্য চালু নেই