শিক্ষার্থী সংকটে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে
ব্যাপক সুখ্যাতি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থী সংকটে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ। গতবার ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও এবার মাত্র ২২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৫ জানুয়ারী ক্লাস শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত কমিটি এমবিবিএস ও বিডিএসে সর্বনিম্ন ১২০ স্কোর নির্ধারণ করা হয় যা অযৌক্তিক নয়। ইতোমধ্যে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে চার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ভাল কলেজগুলোতে তেমন কোন আসন খালি নাই। কিন্তু যেইগুলোর খ্যাতি কম, সেই কলেজগুলিই কেবল সংকটে আছে।
চলতি বছর থেকে মেডিকেলে ভর্তির জন্য পাস নম্বর ২০ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভর্তি ফি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ৭ লাখ টাকা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও এ রকম দূরবস্থার স্বীকার হয়েছেন তারা।
সংকটের এ কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি। যেখানে পটুয়াখালীতে এই মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষকের হত্যার দাবিতে ব্যাপক ভাংচুর ও নাশকতার ঘটনা ঘটে এবং মেডিকেলে ভর্তির জন্য পাস নম্বর বৃদ্ধিকেও দোশারোপ করেছেন তারা।
১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন কতৃক স্বীকৃ্ত হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার্থী না পাওয়ার কারণ হিসেবে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. লায়লা পারভীন বানু জানান-“ভর্তির পাশ নম্বর বাড়ানোর কারণে আমাদের এ অবস্থা। সরকার যদি পাশ মার্ক কিছুটা কমায় তবে আমরা আরও অনেক শিক্ষার্থী পাব।”
তবে এতটা সুখ্যাতি, অন্যান্যদের থেকে কম টাকায় ভর্তি হবার সুবিধা ও পড়াশোনার ভাল মান থাকা সত্ত্বেও কেন শিক্ষার্থীর সংকট সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেন নি তিনি।
এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিয়েও সংকটে পড়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি। কেননা এই কলেজের শিক্ষকদেরকে শিক্ষকতার পাশাপাশি বাইরে অন্য কোথাও প্র্যাক্টিস করতে দেয়া হয় না।
মন্তব্য চালু নেই