পদত্যাগ করবেন বাংলাদেশের অধিনায়ক!

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ দল। ক্লাবের কাছে জাতীয় দলের এমন হারে বেশ নাখোশ হয়েছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। পরে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ সাইফুল বারী টিটু ও অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম মামুন সাক্ষাত করেছিলেন বাফুফে সভাপতির সঙ্গে। সেখানে তারা গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসেন। পাশাপাশি বলে এসেছিলেন সেমিফাইনালে যেতে না পারলে জাতীয় দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে অবসর নেবেন।

কিন্তু গোল্ডকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ দল। সেমিফাইনালে যেতে হলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবশ্যই জিততে হবে বাংলাদেশকে। সেটা সম্ভব না হলে ১৬ বছর পর আয়োজিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে বাংলাদেশকে।

শুক্রবার পদত্যাগের বিষয়টি আরো একবার মনে করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘আমরা একজনকে কথা দিয়ে আসছিলাম যে আমরা সেমিফাইনালে উঠব। একপর্যায়ে বলেও ফেলেছি সেমিফাইনালে উঠতে না পারলে আমি জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়াবো। কারণ, তখন আমাদের দেয়ার মতো কিছুই থাকবে না। এখন যদি আমরা সেমিফাইনালে উঠতে না পারি তবে মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবুও আমি ম্যাচ শেষে দলের সব খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছি। যে আমাদের পরের ম্যাচে লড়াই করতে হবে।’

হেরে যাওয়ার পর কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ বলেছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে পিছিয়ে ছিল। তাদের জন্য মনোবিদ নিয়োগ দেওয়াটা ভালো একটি অপশন হতে পারে। মনোবিজ্ঞানী প্রয়োজন কিনা এ প্রসঙ্গে মামুনুল বলেন, ‘কোচ ও টিম ম্যানেজম্যান্ট কমিটি দলের ভালোর জন্য যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমরা মানবো। আর মনোবিজ্ঞানী হলে আমাদের জন্য ভালো। কেননা সব সময় মানসিকভাবে শক্ত থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য একজন মনোবিজ্ঞানী দরকার।’



মন্তব্য চালু নেই