‘সংবিধান হালকাভাবে কলম চালানোর জিনিস না’

গণফোরামের সভাপতি সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান কোরআন- হাদীস নয় যে সংশোধান করা যাবে না।

এটি সংশোধন হতেই পারে। তবে এটি হালকাভাবে কলম চালানোর জিনিস না।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে সংবিধান দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের সংবিধান দ্বিতীয় স্মারক বক্তৃতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, অবশ্যই এর সংশোধন হতে হবে জণগণের স্বার্থে তাদের মতামতের ভিত্তিতে। ভোটের আগে এটি জণগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে এবং জণগণ এটি মেনে নিতে হবে। তবেই এ সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে।

তিনি বলেন, যদি সংসদে ৩০০ ভোটার থাকে সে ভোটের জোরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মত নিয়ে একটি সংবিধান সংশোধন করলে হবে না, এর জন্য ১৬ কোটি জণগণের মত নিতে হবে।

প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, সরকার একটি দেশের অভিভাবক। একটি দেশের অভিভাবক হওয়া মানে সচেতন হওয়া, সক্রিয় হওয়া, দায়িত্ববান হওয়া। শুধু ভোটের আগে বললে হবে না সেটিকে কাজে পরিণত করতে হবে। দেশের জন্য নিজেকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, জণগণ এ দেশের মালিক। তাদের প্রতিনিধিত্ব যারা করবেন তাদের অবশ্যই দায়িত্বপরায়ন হতে হবে। জণগণের প্রতি তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষা। সংবিধান জণগণের স্বার্থে প্রণয়ন এবং তাদের জন্য সংশোধন ও প্রয়োগ করতে হবে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ‘আজকে সংবিধান সম্পর্কে কথা বলতে গেলে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। এ পর্যন্ত এটি সংশোধিত হয়েছ ১৬বার। যে সরকারই আসুক না সবাই যার যার মতো নিজেদের অনুকূলে এটিকে সংশোধন করে। এসবের বিরুদ্ধে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রগতিশীর রাজনীতির চর্চা বাড়াতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্মান্ধ মৌলবাদকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’

আলোনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, আইন কমিশনের সদস্য ড. শাহ আলম, অ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই