অস্ট্রিয়াতে বিশ্বের প্রথম সেক্স স্কুল!

লভা-মারিয়া থম্পসন নামের এক অস্ট্রিয়ান স্কুল শিক্ষিকার হাত ধরে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের প্রথম যৌনতা বিষয়ক স্কুল বা সেক্স স্কুল ‘অস্ট্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব সেক্স’! প্রতিটি টার্মের জন্যে এখানে ব্যয় হবে মাত্র ১৪০০ পাউন্ড! প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া বলেন- ‘আমাদের শিক্ষা শুধু তত্ত্বীয় নয়, খুব বেশি প্রাকটিক্যাল। গুরুত্ব দেয়া হবে কিভাবে একজন ভাল প্রেমিক বা প্রেমিকা হওয়া যায়’। দেশটির ১৬ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ এই সেক্স স্কুল-এ ভর্তি হতে পারবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যুক্তরাস্ট ভিত্তিক জনপ্রিয় পত্রিকা ডেইলি মেইল তাদের ওয়েব পোর্টালে এমনটায় জানিয়েছে।

ভালবাসাকে কীভাবে আরও উপভোগ্য করে তোলা যায়, প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় হওয়া যায় সে বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হবে এই স্কুলে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে আরও বেশি আনন্দ দেওয়ার ব্যাপারে খুঁটিনাটি শেখানো হবে!

imagesছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেক্স স্কুল সংলগ্ন ডরমেটরিতে। সেখানে তাদের হোমওয়ার্ক করানো হবে আর এই হোমওয়ার্কের প্রায় পুরোভাগ হবে প্রাকটিক্যাল। মজার বিষয় হল, মারিয়া থম্পসন বলেছেন- ‘আমার আমাদের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের টার্ম শেষে সনদ সনদ প্রদান করবো, যা তাদের পরবর্তী জীবনে উপকারী বন্ধু হিসেবে পাশে দাঁড়াবে!’

“অস্ট্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব সেক্স” টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে শুরু করেছিল। কিন্তু দেশের অভ্যান্তরে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় আপত্তিকর দৃশ্য সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন স্থগিত রাখা হয়েছে।

দাম্পত্য জীবনে যৌনতা জরুরী, সেই সাথে যৌন বিষয়ক জ্ঞানও জরুরী। কিন্তু তাই বলে সেক্স স্কুল বানিয়ে, তাও আবার প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা? বিষয়টি কতটুকু নৈতিকতা পরিপন্থী? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা ধর্মীয় অনুশাসনের সম্পূর্ন বিপরীতে চলেন কেবলমাত্র তাদের পক্ষেই এধরণে কার্যক্রম চালানো সম্ভব। নৈতিকতার চরম অবক্ষয় হলেই কেউ এরকম একটি সংস্কৃতির চর্চা করতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই