যশোরের কিছু খবর :

বিএফইউজে’র সভাপতি ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে হুকুমের আসামী করার প্রতিবাদে জেইউজে’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর সভাপতি বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদকে একটি জঘন্য ঘটনার সাথে পরিকল্পিত ভাবে জড়িয়ে হুকুমের আসামী করেছে পুলিশ। দেশের একজন শীর্ষ স্থানীয় সাংবাদিক ও নন্দিত সাংবাদিক নেতাকে এহেন একটি চক্রান্তের সাথে জড়িত করে পুলিশ প্রমান করেছে বাংলাদেশ একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে। এখানে পুলিশ ইচ্ছা করলে যা খুশি তাই করতে পারে।

সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর (জেইউজে) পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। অন্যথায় ইউনিয়ন তার সকল সদস্যকে নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের (জেইউজে) সভাপতি নূর ইসলাম, সহসভাপতি মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক এম. আইউব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না, দপ্তর সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মিলন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম. আর খান মিলন ও কার্য নির্বাহী সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান মিলন এই দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে একটি গাড়ী পোড়ানো মামলায় হুকুমের আসামী করে পুলিশ প্রকৃত অগ্নিসংযোগকারীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ওই অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ৩১জন মানুষকে যারা বা যে চক্র পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে তাদের খুঁজে বের করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এভাবে প্রতি ঘটনার সাথে রাজনৈতিক যোগসূত্র না খুঁজে প্রকৃত হামলাকারী বা অগ্নিসংযোগকারীদের চিহ্নিত করতে পারলে দেশবাসী উপকৃত হবে। বিনা দোষে শওকত মাহমুদের মতো দেশ বরেণ্য সাংবাদিক নেতাকে ওই সব জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়ালে প্রকৃত হামলাকারীরা রয়ে যাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফলে তারা পুনরায় ওই ধরনের ন্যাক্কারজনক ও জঘন্যতম ঘটনার জন্ম দেবে। বৃদ্ধি পাবে সহিংসতা আর সন্ত্রাস। যা গণতন্ত্র ধ্বংসের নামান্তর।

অপরদিকে বিএফইউজের কার্য নির্বাহী সদস্য জনাব আনোয়ারুল কবির নান্টু অনুরুপ এক বিবৃতিতে শওকত মাহমুদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, পুলিশ সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের লক্ষ্যে ও প্রকৃত হামলাকারীদের আড়াল করতে এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের বার বার নির্বাচিত সভাপতি ও বিএফইউজের সভাপতি জনাব শওকত মাহমুদকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই একটি জঘন্যতম ঘটনায় তাকে আসামী করেছে।

যার নিন্দা বা ক্ষোভ জানানোর কোন ভাষা জানা নেই। ওই ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের চিহ্নিত পূর্বক আটকের দাবি জানিয়ে জনাব নান্টু বলেন, অবিলম্বে শওকত মাহমুদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে দেশের সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। আর তার জন্য দায়ী থাকবে দোষী পুলিশ কর্মকর্তারা ও সরকারের অতিউৎসাহী কিছু মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতা।

 

যশোরে এক ইউপি সদস্য আটক
যশোর চাচড়া ফাড়ির পুলিশ সদরের ভায়না এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ফতেপুর ইউপি সদস্য ছবদুল হোসেনকে আটক করে।
স্থানীয় লোকজন জানায় সোমবার দুপুরে ভায়না গ্রামে কুলখানির অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য ছবদুল হোসেন অতিথিদের আপ্যায়নে নিয়োজিতছিলেন।

এ সময় চাচড়া ফাড়ির ইনচার্জ জামাল হোসেন ওই কুলখানির অনুষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পুলিশ জানায় ছবদুল হোসেন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা।তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

 

যশোরে অস্ত্র-গুলিসহ চারজন আটক
রবিবার রাতে যশোর কোতয়ালি পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অস্ত্র ও গুলিসহ চার যুবককে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে যশোর শহরের পলিটেকনিক কলেজ এলাকার রাসেল হোসেন, ঘোপ জেল রোড এলাকার ইকরাম, রাসেল ওরফে বিলা রাসেল ও মিরাজ।

যশোর কোতয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জহুরুল ইসলাম জানান শহর ও শহরতলীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় রাসেল হোসেন, রাসেল ও মিরাজ আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

 

যশোরেকাস্টমস দিবস উপলক্ষে র‌্যালি
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে যশোরে র‌্যালি হয়েছে। র‌্যালি উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর অঞ্চল খুলনার কমিশনার রাধেশ্যাম রায়, যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, বিজিবি-২৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসাইনসহ কাস্টমস কর্মকর্তারা। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।



মন্তব্য চালু নেই