সঙ্গীর নজরে সুন্দর থাকতে যে খাবার
নারীরা বরাবরই নিজের শরীরের প্রতি উদাসীন। বয়স বাড়ার সঙ্গে হৃদরোগ, হাড়ক্ষয়, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, স্তন ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির ঝুঁকিতে ভুগতে থাকে। চেহারায় চলে আসে বয়সের ছাপ। ফলে অল্প বয়সেই পরিবারের বোঝা হতে হয়, সঙ্গীর সঙ্গে বাড়ে দূরত্ব। নিজের অসুস্থতা পর-নারীর প্রতি সঙ্গীর ঝুঁকে পড়ার অন্যতম পরোক্ষ কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই সাবধান হোন এখনি, নিজে সুস্থ থেকে সঙ্গীর নজরে সুন্দর থাকতে অতি প্রয়োজনীয় কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ভিটামিন ডি
যেসব নারী যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি গ্রহণ করেন না তাদের হাড়ের ভঙ্গুরতা হতে পারে। ভিটামিন ডি হাড়কে মজবুত করে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। মাছের হাড়, দুধ, দই, ঘরে তৈরি পনিরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি রয়েছে। পরিমিত পরিমানে এসব খাবার খেলে দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হবে।
ফলিক অ্যাসিড
ফলিক অ্যাসিড বা ফলেট হলো একটি বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন। গর্ভবতী মায়েদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ফলিক অ্যাসিড। ফলিক অ্যাসিড হৃদ-রক্ষাকারী ও নতুন টিস্যু গঠনে সহায়তাকারী। ফলিক অ্যাসিডের অভাবে নারীদের শরীরে রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা, মাথাব্যথা এবং হৃদরোগ হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা উচিৎ। সবুজ শাকসবজি, লেবুজাতীয় ফল, আঙুর, বাদাম এবং অলিভ অয়েলে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। ত্বকের যত্নে ফলিক অ্যাসিড অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
ক্যালসিয়াম
হাড়ের নতুন কোষ তৈরি করতে ক্যালসিয়াম সহায়তা করে। মনোপজ বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নারীদের এই ক্ষমতা কমে যায়। তখন ক্যালসিয়াম গ্রহণ খুবই জরুরি। তরল দুধের তুলনায় দুগ্ধজাত খাবারে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম থাকে। দুগ্ধজাত খাবারের পাশাপাশি সয়া এবং চালের তৈরি পানীয়, ক্যাল, ব্রোকলি, চাইনিজ বাঁধাকপি, সার্ডিন, স্যামনসহ নরম কাঁটার মাছে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
প্রচুর পরিমাণে মাছ খেলে এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করলে নারীদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আসে পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি থেকে। এই স্বাস্থ্যকর চর্বি আর্টারির দেয়ালে প্লাক এবং নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চেহারায় কোমলতা বৃদ্ধি করে।
মন্তব্য চালু নেই