সিভি দিয়ে নিয়োগকর্তাকে আকর্ষণ করতে কিছু টিপস
চাকরির জন্য আপনি যত সময় নিয়েই জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি তৈরি করেন না কেন, নিয়োগকর্তা আপনার সিভির পেছনে মাত্র ৮.৮ সেকেন্ড সময় ব্যয় করবেন। আর এ সময়ের মধ্যেই তাকে আকর্ষণ করার জন্য আপনার যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
এক জরিপে দেখা গেছে, নিয়োগকারী মাত্র ৮.৮ সেকেন্ড করে ব্যয় করে একটি সিভি দেখতে। আর এ সময়টিতেই যেন নিয়োগকারীর মন জয় করা যায়, সেজন্য কয়েকটি পরামর্শ রয়েছে এ লেখায়।
প্রথম সেকেন্ড
অধিক পাতা ব্যবহার করার পেছনে কোনো আকর্ষণ নেই। প্রথম সেকেন্ড থেকেই যেন সময়ের সদ্ব্যবহার করা যায়, সেজন্য ব্যবস্থা নিন। পাতা উল্টাতেও সময় লাগে। আর তাই পাতার সংখ্যা যতটা সম্ভব কম রাখুন। যদি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য এক পাতাতেই দেওয়া যায় তাহলে তাই করুন।
দ্বিতীয় সেকেন্ড
সনাতন পদ্ধতিই নিরাপদ। আপনি যদি অসাধারণ কোনো ডিজাইন কিংবা ধারণার প্রকাশ ঘটান, তাহলে তা বুমেরাং হতে পারে। আপনার সিভির পাঠক চট করে সিভিটি এ সময়েই বাদ দিয়ে দিতে পারেন। তাই মানসম্মত সিভির কাঠামো অনুসরণ করতে হবে।
তৃতীয় সেকেন্ড
সংশ্লিষ্ট হোন। আপনার সিভিতে ধারাবাহিকতা অনুযায়ী সঠিকভাবে চাকরির বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আনতে হবে। যে কোনো অযাচিত বিষয়ই আপনার সিভিটি অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। আর এতে বাদ হয়ে যেতে পারে সিভিটি। তাই সিভির প্রত্যেকটি বিষয়ই হওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট।
চতুর্থ সেকেন্ড
ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাবেন না। ভাষায় দুর্বলতা পরিহার করুন। নিয়োগকর্তার সামনে আপনি দুর্বল নন, বরং নিজের পূর্ণ যোগ্যতা প্রকাশ করে চাকরি চাইছেন, এমনটাই প্রমাণ করুন।
পঞ্চম সেকেন্ড
মনে মনে নিয়োগকর্তার চোখ কল্পনা করুন। যেই আপনার সিভি পড়ুন না কেন, তার সামনে আপনার যোগ্যতাগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরুন। অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় আপনার যোগ্যতাগুলো তুলে ধরুন, যা তারা খুঁজছেন।
ষষ্ঠ সেকেন্ড
বিচ্ছিন্ন হবেন না। চাকরির বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে আপনার যোগ্যতাগুলো তুলে ধরতে থাকুন। আপনার অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা যা আছে সব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ুন।
সপ্তম সেকেন্ড
আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন। আপনার পেশাদারী যোগ্যতায় আকর্ষণীয় কিছু বিষয় নিশ্চয়ই রয়েছে। সেগুলো সুন্দর করে তুলে ধরুন।
অষ্টম সেকেন্ড
একটি নির্দিষ্ট যোগ্যতা না থাকার কারণেও সিভি বাদ হয়ে যেতে পারে বা চাকরি নাও হতে পারে। আপনার চাকরির জন্য আরও একটি যোগ্যতা ছিল, যা লিখতে ভুলে গিয়েছেন? এ যোগ্যতারা কারণেও চাকরিটি হারাতে পারেন। তাই ভালোভাবে দেখে নিন, সবগুলো যোগ্যতা তালিকাবদ্ধ হয়েছে কি?
নবম সেকেন্ড
সময় শেষ হলো বলে। নিয়োগকর্তা সিভির শেষ অংশ দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন, আপনার সঙ্গে যোগাযোগে কোনো সমস্যা হবে না তো? আপনার সিভির শেষ অংশে ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি ঠিকভাবে দিয়েছেন কি? ঠিকানার মাঝে মানসম্মত পেশাদারী ভাব রয়েছে কি?
মন্তব্য চালু নেই