বিএনপি নেতারা বার্ন ইউনিটে গেলে উপযুক্ত শিক্ষা : খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতারা হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে তামাশা করতে গেলে উপযুক্ত শিক্ষা দেবেন বলে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট আয়োজিত হরতাল-অবরোধ বিরোধী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চলমান অবরোধে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডেক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘চলমান শান্তিপূর্ণ হরতাল-অবরোধে এ সব সহিংসতায় অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছি। এসব যারা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপির কেউ এ কাজ করে না। এসব নাশকতার সঙ্গে ২০ দলীয় জোটের কেউ জড়িত নন।’
এ প্রেক্ষিতে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান তামাশা করতে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে গিয়েছিলেন। এই সমস্ত নেতা যদি বার্ণ ইউনিটে তামাশা করতে যান তাদেরকে ধরে উপযুক্ত শিক্ষা দেবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি তথাকথিত অবরোধের ১৬ দিন পর ছাত্রদল তাদের একজন নেতার প্রাণহানির ঘটনায় হরতাল ডেকেছে। মৎস্য ভবনের সামনে যে ছেলেটি পুলিশ ভ্যানে বোমা ছুড়েছে, সেই ছেলেটি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। যেটি আমরা পুলিশের ভাষ্য অনুসারে এবং গণমাধ্যম মারফত জেনেছি।’
তার জন্য ৪৮ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করা হয়েছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হত্যা করে, শিশু হত্যা করে, সন্তান সম্ভবা নারীকে হত্যা করে দাবি আদায়ের যে সংস্কৃতি চালু করতে চাচ্ছেন, আমরা তা চালু করতে দেবো না।
রাজনৈতিক সংকটের মীমাংসা রাজনৈতিকভাবেই হয়, আলোচনায় হয়, সমঝোতায় হয়। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে, সংলাপ হতে পারে, আলোচনা হতে পারে কিন্তু কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে কোন সংলাপ, সমঝোতা, আলোচনা হতে পারে না।’
কামরুল বলেন, ‘বিএনপি দেশের সাধারণ মানুষকে হত্যা করে দাবি আদায় করতে চায়। এটা কোন অবস্থায় সম্ভব না। এদের বিরুদ্ধে সরকারের যত প্রকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, তাই করবে। কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন।
মন্তব্য চালু নেই