সব সিদ্ধান্তই চেলসির বিপক্ষে!

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে চেলসির অবস্থান। ২১ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট সংগ্রহ দ্যা ব্লুজদের। দলের এমন সাফল্যে কোচ হোসে মরিনহো বেশ প্রশংসিত স্ট্যামফোর্ড শিবিরে। তবে প্রিমিয়ার লিগে দল নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন পর্তুগিজ ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’। তার ক্ষোভ এফএ’র (ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) ম্যাচ অফিসিয়ালদের দিকে। সপ্তাহখানেক চুপ থাকার পর আবার মুখ খুলেছেন মরিনহো। বলেছেন, রেফারির সব সিদ্ধান্ত চেলসির বিপক্ষেই যায়।

কিছুদিন আগে এফএ‘র বিরুদ্ধে কথা বলায় শাস্তি পেয়েছিলেন মরিনহো। এরপর অনেকদিনই চুপ ছিলেন। তবে আজ (শনিবার) রাতে প্রিমিয়ার লিগে সোয়ানসি সিটির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।

মরিনহো বলেন, ‘এখন আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি, কিন্তু এক সপ্তাহ আগে তা পারিনি। যার জন্য সমস্যায় মধ্যে পড়তে হয়েছিল। এটা ভালো সিদ্ধান্ত ছিল (কৌতুক করে)। এখন আমি হাসতে পারছি, কথা বলতেও বেশ সংযত। আমি শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করিনি, তাতে আমার মন সায় দেয় না। আমি আমার নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত, পেছনের সব ভুলে গেছি।’

রেফারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা রেফারিদের বিপক্ষে নেই। আমরা বুঝি এটা বেশ কঠিন কাজ। এফএ কাপের ম্যাচের পর ওয়াটফোর্ডের কেভিন ফ্রেন্ডের সঙ্গে আমি শুধু কথাই বলেছিলাম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, ভুল ছিল আমার, তার না। কোন সমস্যা নেই। সব সিদ্ধান্তই আমাদের বিরুদ্ধে যায়, যা প্রভাব পড়ে ম্যাচের রেজাল্টেও।’

আরও উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘স্টোকসিটি-ম্যানইউ ম্যাচে ওইটা কি পেনাল্টি ছিল (ক্রিস স্ম্যালিংয়ের হ্যান্ডবল)। সবাই তা মনে করে। এ নিয়ে অনেক হৈ চৈ হয়েছে। কিন্তু আমি নিশ্চুপই ছিলাম’।

সব শেষে গোল লাইন প্রযুক্তির বেশ প্রশংসা করেছেন তিনি। তার মতে, এতে লাইন্সম্যান কিংবা রেফারিদের নির্ভার করে দিয়েছে। দলগুলোও ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছে না’।



মন্তব্য চালু নেই