‘কচুপাতার পানির মতো ঝরে যাবে হাসিনার সরকার’

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুনরায় বালু, কাঠ ও সিমেন্টের ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে প্রতিবাদ সভা করেছে লেবানন বিএনপি।

রোববার স্থানীয় সময় ৩টায় বৈরুতের ফরন আল-সুব্বেক এলাকার লেবানন ইউনিভারসিটির হল রুমে প্রতিবাদ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন লেবানন বিএনপির সভাপতি মো. মানিক মোল্লা। সভা পরিচালনা করেন লেবানন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মজুমদার ও সূচনা বক্তব্য দেন সহ সাধারণ সম্পাদক জসিম ঊদ্দীন।

সভায় বক্তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। দলের প্রাক্তন নেতা আব্দুল গফুর বলেন, “কচু পাতায় পানি যেমন ঝরে যায়, তেমনি বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে বাংলাদেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারও বাংলাদেশ থেকে ঝরে যাবে।”

সভাপতি মো. মানিক মোল্লা বলেন, “সরকার বিএনপির ভয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। মির্জা ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। ভয় পায় বলেই তরুণ নেতা তারেক রহমানের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে। ভয় পায় বলেই তারেক রহমানের বক্তব্য একুশে টিভিতে প্রচারের কারণে চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”

তিনি বাংলার সবার প্রতি আহ্বান করে বলেন, “আপনারা অবৈধ সরকাররের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যান, আমরা প্রবাসীরা আপনাদের পাশে আছি।”

তিনি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

লেবানন বিএনপির সদস্য সচিব মেসবাহ ঊদ্দীন মামুন চৌধুরী বলেন, “আরব দেশের অনেক নজির আছে, মিশরের হুসনে মোবারকও পারেনি ক্ষমতা ধরে রাখতে। বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে বাংলার দামালদের দাবানলে শেখ হাসিনা ও জ্বলে যাবে। পারবে না অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে।”

সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা জনগণের ভোটে বিজয়ী গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চাই।”

আরো বক্তব্য দেন রুহুল আমিন, আবু বাক্কার, মজিবর রহমান, ওয়াসিম, এরশাদসহ আরো অনেকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন লেবাননের প্রত্যন্ত এলাকার নেতারা।



মন্তব্য চালু নেই