গওহর-সন্তু লারমার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
পার্বত্য শান্তিচুক্তি নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং জন সংহতি সমিতির চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে শন্তু লারমা।
শুক্রবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শুরু হওয়া বৈঠকটি বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
বৈঠকের বিষয়ে সরকার ও জন সংহতি সমিতির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও সাংবাদিকদের বিশেষ অনুরোধে গওহর রিজভী বলেছেন, ‘শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এব্যাপারে সরকার খুবই আন্তরিক।’
জন সংহতি সমিতির সভাপতি শন্তু লারমা বলেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অনেক দাবি আছে। পার্বত্য সমস্যা সমাধানের জন্য চুক্তি হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা আশাবাদী। মানুষ আশা নিয়ে জীবনযাপন করে। আমারও আশা নিয়েই বেঁচে আছি। আশাকরি সরকার আন্তরিকভাবে আমাদের দাবি পূরণে কাজ করবে।’
সরকারকে আল্টিমেটাম দিলেও বৈঠকে দাবি পূরণের ব্যাপারে কোনো আশ্বাস পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে সন্তু লারমা বলেন, ‘বৈঠকে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাঙ্গামাটি গিয়ে দলের পক্ষ থেকে বিস্তারিত বলবো।’
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেছেন, ‘পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের কিছু সংশোধনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। পার্বত্য ভূমি কমিশনকে আরো কার্যকর করতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বেশিরভাগ দাবি পূরণ করা হয়েছে তবে যেহেতু ভূমিই প্রধান সমস্যা তাই এ ব্যাপারে আলোচনা শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তারিক নয় এমন অভিযোগ তুলে সরকারকে ৫ মাসের আল্টিমেটাম দিয়ে আগামী ১ মে থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল সংহতি সমিতি। গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এ আল্টিমেটাম দেন জন সংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা।
মন্তব্য চালু নেই