রাজনৈতিক, জমি-জমা সংক্রান্ত, পারিবারিক কলহ
২০১৪ সালে ঝিনাইদহ জেলায় ৭৭টি হত্যাকান্ড
ঝিনাইদহ জেলা শহরে রাজনৈতিক কোন খুনা-খুনির ঘটনা না ঘটলেও পারিবারিক কলহ, পূর্ব শত্র“তার জের, জমি-জমা সংক্রান্ত সংঘর্ষ, রাজনৈতিক গ্রুপিংসহ বিছিন্ন ঘটনায় গত ২০১৪ সালে ১ বছরে জেলায় ৭৭ খুনের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের মাঝা-মাঝি সময়ে সন্ত্রাসীরা কিছুটা বে-পরোয়া হওয়ায় সাধারন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনে আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়ালে জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের কঠোর নজরদারীতে তা থিতিয়ে যায়। এছাড়াও পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে ক্রসফায়ারে পড়ে জেলার কিছু সন্ত্রাসীর জীবনাবাসন ঘটেছে, উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও বোমা। জেলার আইনশৃংখলা মিটিয়ে জেলাকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কঠোর হুশিয়ারী ছিল। ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর বিশেষ ভূমিকার কারনেও সন্ত্রাসীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি এক্ষেত্রে দুই প্রশাসনই যথার্থ সফলতা পেয়েছে। গত ১০ জানুয়ারী কালিগঞ্জে বরাট গ্রামে কামাল হোসেনকে হত্যা,১৮ জানুয়ারী সদর উপজেলায় শাহআলম ও আরিফ পুলিশের গুলিতে নিহত,২১ জানুয়ারী শহরের উদয়পুর গ্রামে ইজিবাইক চালকে হত্যা, ২২ জানুয়ারী কোটচাদপুরে মায়ের হাতে সুমাইয়া খুন,২৩ জানুয়ারী কালিগঞ্জে ছেলে কর্তৃক পিতা খুন,২ ফেব্রয়ারী হরিনাকুন্ডু রতখোলা গ্রামে হযরত আলীকে গলাকেটে হত্যা,৯ ফেব্রয়ারী শৈলকুপার শ্রীরামপুর থেকে অপহরনের পর ছাত্রী লক্ষরানী খুন,২৬ ফেব্রয়ারী কোটচাদপুরে নওয়াপাড়া গ্রামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে এনামুল নিহত,৩ মার্চ শৈলকুপায় সিদ্ধি গ্রামে মায়নকে জবাই করে হত্যা,১০ মার্চ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি গ্রামে আজিজকে জবাইকরে হত্যা,একই দিরে শৈলকুপার নলখোলা গ্রামে জুলিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা,১৭ মার্চ শৈলকুপার সাতগাছি গ্রামে গৃহবধু বিউটিকে হত্যা,২৪ মার্চ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বদনপুর গ্রামে চান্নু মন্ডকে হত্যা,৩০ মার্চ শৈলকুপায় মিনগ্রামে আজাদ কে পিটিয়ে হত্যা,৫ এপ্রিল হরিনাকুন্ডুর তোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর নিহত,৮ এপ্রিল কালিগঞ্জের শহর থেকে ইসমাইল হোসেনের লাশ উদ্ধার,১০ এপ্রিল ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে শৈলকুপার জিহাদ নামে একজনকে হত্য,২১ এপ্রিল সদরের মামুন শিয়া গ্রামে হাফেজ আবুল কালামকে হত্যা,১৪ এপ্রিল শৈলকুপার চতুরা গ্রামের বিএনপি নেতা আইয়ুব হোসেন খুন,১৬ এপ্রিল মহেশপরের বেতবাড়িয়া গ্রামে ছেলের হাতে পিতা নিহত,২২ এপ্রিল সদরের শিকারপুর গ্রামে মহিউদ্দিনকে হত্যা,৫ এপ্রিল শহরের আপারপুর এলাকায় শ্রমিক নেতা গাফ্ফার বিশ্বাসকে হত্যা,৬ এপ্রিল মহেশপুরের ঘুগরীপাড়ার আমীন হককে কুপিয়ে হত্যা,১৩ মে কালিগঞ্জের বিএনপি নেতা ইসমাইলকে হত্যা,১৬ মে শৈলকুপার দুধসর গ্রামের বিশারত আলীকে হত্যা ১৮ মে কালিগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামে শিশু নুসরাতকে হত্যা,২৩ মে মহেশপুরের কবিঞ্চা গ্রামে আব্দুর রাহমানকে হত্যা,২৪মে সদরের এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুল খালেককে কুপিয়ে হত্যা,২৫ মে হরিনাকুন্ডুর কাপাশাটিয়া গ্রামে বালিশ চাপা দিয়ে একজনকে হত্যা,২৭ মে হরিনাকুন্ডুর আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামে মশিয়ার হত্যা,৬ জুন কোটচাদপুরের গোবিন্দপুর গ্রামে বিলকিসকে গলা টিপে হত্যা একই দিনে ঝিনাইদহ শহরের চরখাজুরা গ্রামের আবু সাইদ সাহিনকে কুপিয়ে হত্যা,১০ জুন সদরের কুশোবাড়িয়া গ্রামের রিন্টু মুন্সীকে গুলি করে হত্যা,১১ জুন সদরের ড্যাফল বাড়িয়ার ইউনুচ আলীকে কুপিয়ে হত্যা,১২ জুন সদরের পবহাটি গ্রাম থেকে ঝুমুর নামে এক গৃহবধুকে হত্যা,১৯ জুন শৈলকুপার বগুড়া গ্রাম থেকে সাগর নামে এক যুবককের লাম উদ্ধার, ১ জুলাই সদর হাসপাতালে মনিরুল শেখ নামে এক যুবকের মৃত্যু, একই দিনে শৈলকুপার দোড়া গ্রামের লিটন নামে একজনকে জবাই করে হত্যা ৪ জুলাই শৈলকুপার শেখপাড়ায় সুজন নামে এক যুবককে জবাই করে হত্যা একই দিনে কালিগঞ্জের মেকুর খুদ্ধা গ্রামের মহসিনকে কুপিয়ে হত্যা,৮ জুলাই শৈলকুপার গাবলা গ্রামের ফারুক নামে একজনকে হত্য,৯ জুলাই হরিনাকুন্ডুর নামদিয়া গ্রামের হক আলেিক হত্যা,১২ জুলাই হরিনাকুন্ডুর রিশখালী গ্রামে হযরত আলী পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত,একই দিনে কোটচাদপুরে দোড়া গ্রামে আব্দুর রশিদ পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত,১৫ জুলাই হরিনাকুন্ডুর ভেড়াখালী গ্রামে রবিউলকে গলা টিপে হত্যা,১৭ জুলাই মহেশপুরের ইশালডাঙ্গা গ্রামের সাগরিকাকে খুন,২৪ জুলাই হরিনাকুন্ডুর কাদিখালি গ্রামের ঈমান আলেিক কুপিয়ে হত্যা,২৮ জুলাই শৈলকুপার চানাপুকুরিয়া গ্রামে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত,একই দিনে শৈলকুপার ধাউড়া গ্রামে রানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা,৯ আগষ্ট শেলকুপার সিংনগরে আবু সাইদ নিহত,২৯ আগষ্ট মহেশপুরের কোদলা নদী থেকে শাহিনূরের লাশ উদ্ধার একই দিনে হরিনাকুন্ডুর বাবুলকে হত্যা,৩১ আগষ্ট শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের তুহিন হত্যা,৭ সেপ্টেম্বর শৈলকুপার শিতলীপাড়া পাড়া গ্রামের আলা উদ্দিনকে হত্যা,১৩ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ শহরের ডক্টর ক্লিনিকে ভুল ইনজেশনে জুয়েল ও নাসরিনকে হত্যা,১৬সেপ্টেম্বর কালিগঞ্জের পাতবিলার মতি ডাকাত নিহত,২২সেপ্টেম্বর মহেশপুরের আনন্তপুর গ্রামের শহিদুলকে গলা কেটে হত্যা,৩০সেপ্টেম্বর শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামের সাজু বেগমকে হত্যা,২ অক্টোবর শৈলকুপার পিড়াগাথি গ্রামের ইকবাল হোসেন সিকদার নিহত,৪ অক্টোবর কালিগঞ্জের নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোজামকে গলাকেটে হত্যা,৫ অক্টোবর কোটচাদপুরের সলেমানপুর গ্রামের ছলেমানকে হত্যা,৬ অক্টোবর কালিগঞ্জের কামালহাট গামের দুখু মিয়া নিহত,৭ অক্টোবর শৈলকুপার রতনহাট গ্রামের আলীম সর্দার নিহত,৯ অক্টোবর কালিগঞ্জের হোটেল থেকে কামালের লাশ উদ্ধার,১০ অক্টোবর শৈলকুপার রতনহাট গ্রামের মনছের আলী নিহত,১৩ অক্টোবর হরিনাকুন্ডুর ভালকি গ্রামের মেমজান নিহত,১৪ অক্টোবর কালিগঞ্জের ফুলবাড়িয়া গ্রামের হাদি ও সোহাগ খুন,১৮ অক্টোবর কালিগঞ্জের ছোট ঘিঘাটি গ্রামের প্রান্তকে গলাটিপে হত্যা,২০ অক্টোবর কোটচাদপুরের দুতিয়াকাঠি গ্রামের স্বপ্নাকে পিটেয়ে হত্যা,২৪ শৈলকুপার নগরপাড়া গ্রামের তিথি সাহার লাশ উদ্ধার,২৫ অক্টোবর সদরের জাড়গ্রাম থেকে মঈনুদ্দিনের লাশ উদ্ধার,২ নভেম্বর কালিগঞ্জের চাপালি গ্রামের শিউলিকে হত্যা,১০ নভেম্বর শৈলকুপার কমল নগর গ্রামের অজ্ঞাত ব্যক্তিকে হত্যা,১৬ নভেম্বর সদরের বংকিরা গ্রাম থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার,২৬ শৈলকুপার রতনহাট গোয়ালবাড়ি থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার,১৮ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গার রিপনকে হত্যা, ২৮ ডিসেম্বর কোটচাদপুরের শেরখালী গ্রামের জনাব আলীকে গুলি করে হত্যা,একই দিনে শৈলকুপার গোপালপুরের আব্দুল কুদ্দুসকে হত্যা এবং ঐ দিনে হরিনাকুন্ডুর খলিশাকুন্ডু গ্রামের আব্দুল সাত্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা।
মন্তব্য চালু নেই