রাউজান (চট্টগ্রাম)এর কিছু খবর

গোপালগঞ্জ টুঙ্গীপাড়ায় রাউজানের মেজবান! ৫০ হাজার লোকের ভোজন

চট্টগ্রামের রাউজানবাসীর পক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় ৫০ হাজার মানুষের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে। এই মেজবান হবে ১০ জানুয়ারি। এই আয়োজনের যোগান দিতে ইতিমধ্যে এক হাজার নতুন চেয়ার কিনে সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। মেজবানের কাজ শেষে চেয়ারগুলো সেখানে স্থায়ী ভাবে ব্যবহারের জন্য রেখে আসা হবে। এদিন রাউজানবাসীর পে দিনব্যাপী সেখানে কর্মসূচি থাকবে। কর্মসূচিতে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের মাজারে জিয়ারত, মিলাদ, ফাতেহা ও মেজবান। টুঙ্গীপাড়ায় এই মেজবান আয়োজনকে সফল করতে রাউজান উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ প্রায় পাচঁ শতাধিক সেচ্ছাসেবীকে সেখানে নিয়ে যাচ্ছে। অন্তত ৩দিন আগে সেচ্ছা সেবক দলটি সেখানে গিয়ে পৌঁছবে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। এদিকে রাউজানবাসীর পে মেজবানের আয়োজনে নেপথ্যে থাকা এলাকার সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী মেজবান আয়োজনের কথা স্বীকার করে বলেছেন ১০ জানুয়ারি রাউজানের কয়েক হাজার নেতাকর্মী টুঙ্গীপাড়ায় যাবেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন রাউজান থেকে প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মী এই আয়োজন সফল করতে টুঙ্গীপাড়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা এই মেজবান আয়োজনে সেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেছেন এর প্রস্তুতির অংশ হিসাবে আগামী ৩ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাদের নিয়ে জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠক থেকে রাউজান থেকে সিদ্ধান্ত হবে কতজন লোক সেখানে যাবেন। রাউজান দণি ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ আবদুল জব্বর সোহেল জানিয়েছেন মেজবান আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ সেখানকার জেলা শহর থেকে ব্যবস্থা করা হলেও চট্টগ্রাম থেকে এক হাজার নতুন চেয়ার কিনে সেখানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মেজবানে ব্যবহার শেষে চেয়ারগুলো টুঙ্গীপাড়া রেখে আসা হবে। সাংগঠনিক ভাবে সেচ্ছাসেবক নির্বাচিত করার দায়িত্বে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও পৌরসভার কাউন্সিলর জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন ৭ জানুয়ারি সেচ্ছাসেবকদের অগ্রবর্তি দলটি টঙ্গীপাড়ায় পৌঁছে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজে যোগ দেবেন।

রাউজান বিনাজুরীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড : পাঁচ বসতঘর পুড়ে ছাই
চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলার বিনাজুরীতে গভীর রাতে অগ্নিকান্ডে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই। অগ্নিকান্ডে তিগ্রস্থরা দাবী করে নগদ ৩ ল টাকা ও প্রায় ২৫-৩০ ল টাকার স¤পদ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায়। স্থানিয়রা জানান, বিনাজুরী ইউনিয়নের মধ্যম বিনাজুরী গ্রামের বাবু তপন মাস্টারের বাড়ীতে বৃহ¯পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রাপাত হয়। আগুনের লেলিহান শিখায় অনিল শীল, সুনিল শীল, ডা.বাবুল শীল, রিগেন শীল ও অনিল শীলের টিনের পুরো ঘর পুরে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাউজান ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দীর্ঘ ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে তিগ্রস্থ এলাকায় গিয়ে কেউ সহযোগিতা না করায় হতাশা বোধ করছেন স্থানীয় সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান রবিন্দ্র লাল চৌধুরী। তিনি স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে অবহিত করার পর সাংসদ সার্বিক সাহায্যে সহযেগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান। আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবার গুলো বাড়ীর তপন মাস্টারে ঘরে আশ্রয় নিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই