সেশনজটের ব্যাখ্যা দিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেক কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভালো করছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ও টেকনিক্যাল দিক থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পরীক্ষা দেয়ার তিন মাস পরই রেজাল্ট প্রকাশ করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সফলতা।’
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সিনেট সদস্যদের এক সভায় তিনি এসব দাবি করেন। সকাল ১০টায় সিনেট সভা শুরু হয়।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটের কারণ তিনটি। সেগুলো হলো- কেন্দ্রীভূত প্রশাসন, গতানুগতিক প্রশাসন পরিচালনা ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি।’ এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করতে ৬টি বিভাগীয় শহরে (বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম) ভাড়া ভবনে স্থাপিত আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে জনবল নিয়োগ, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে পুরোমাত্রায় সক্রিয় ও গতিশীল করা হয়েছে। গাজীপুরের পরিবর্তে এসব কেন্দ্র থেকে এখন সকল পরীক্ষা সামগ্রী বিতরণ-গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘৬টি আঞ্চলিক কেন্দ্রে উচ্চ ডিগ্রিধারী ৬ জন পরিচালককে সম্প্রতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তারা স্ব স্ব কেন্দ্রে বর্তমানে কর্মরত আছেন।’
ড. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘নিজস্ব জমিতে ভৌত অবকাঠামো গড়ে তুলে স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে ভূমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং ডিপিপি তৈরি করে ইউজিসির মাধ্যমে ইতোমধ্যে সরকারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।’
সেশনজট নিরসনে কিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) কোর্সের শিক্ষার্থীরা যাতে ৪ বছরে অনার্স ও ৩ বছরে ডিগ্রি পাস করতে পারে, সেজন্য প্রতি বছরের পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়সূচি অগ্রিম ঘোষণা করা হয়েছে। এদের এবং এখন থেকে যারা ভর্তি হবে তাদের ক্ষেত্রে কোনো সেশনজট থাকবে না।’
ভিসি বলেন, ‘বিভিন্ন বর্ষের পুরাতন শিক্ষার্থী তাদের সেশনজট নিরসনে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে এবং শিগগির ঘোষণা করা হবে। ফলে সেশনজট ১ বছর থেকে ৪ মাস পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
মন্তব্য চালু নেই