শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে স্মারকলিপি
নোয়াখালীতে গৃহবধূকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরশুল্লকিয়া গ্রামের খাসেরহাট এলাকার এক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে (২৮) ধর্ষণ করেছে মহিন উদ্দিন নামের এক বখাটে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ধর্ষিতার স্বামী মমিন বাদী হয়ে থানায় এ মামলাটি করেন। স্থানীয়রা ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, চরশুল্লকিয়া গ্রামের খাসেরহাট এলাকার মমিনের স্ত্রী (২৮) গত দুই বছর আগে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। মমিন চট্টগ্রামের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। বাড়ীতে মমিনের মা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে থাকে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে মমিনের মা তাদের পারিবারিক কাজে বাজারে যান। ওই সময় তার দুই সন্তানও বাড়ীর বাহিরে ছিল। এসময় এলাকার বখাটে ও সেলিমের বাপের বাড়ীর কালা মিয়ার ছেলে মহিন উদ্দিন ঘরে ডুকে মমিনের স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় বাড়ীর পাশের এক মহিলা তাদের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ঘরের ভিতর থেকে শোরচিৎকার শুনে ঘরের দরজায় গেলে বখাটে মহিন উদ্দিন দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থা ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো জানান, কালা মিয়ার ছেলে মহিন উদ্দিন পূর্বেও একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এর মধ্যে ২টি মামলায় সে কারাগারে ছিল। গত কয়েক মাস আগে সে জামিনে এসে পুণরায় একই অপকর্ম ঘটেয়ে যাচ্ছে। তার ভয়ে এলাকার কিশোরী ও যুবতী মেয়েরা ঘরের বাহিরে যেতে পারেনা। সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিজাম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বখাটে মহিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
বেগমগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে স্মারকলিপি
ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা প্রতিবাদে ও বিচারের দাবীতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গণিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদান করেছে। বুধবার (২৪ ডিসম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে একটি প্রতিবাদী মিছিল উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনী বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সামনে এসে শেষ হয়। এরপর আনোয়ার হোসেনের বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হারুন-অর-রশিদ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা জানান, ২১ ডিসেম্বর রোববার গণিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ওই দিন বিকেলে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরপরই পরাজিত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার সন্ত্রাসী লোকজন সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের সন্ত্রাসীরা লাঠি ও অস্ত্র দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর হামলা চালায়। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার দে ও শিক্ষক প্রতিনিধি নিজাম উদ্দিন গুরুতরভাবে আহত হন। প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৬০ সাল থেকে গত ৫৪ বছর ধরে বিদ্যালয়য়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্ত্র বিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম এমন নক্ক্যারজনক সন্ত্রাসী হামলা ঘটনা ঘটেছে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হামলাকারী আনোয়ার হোসেন ও তার সন্ত্রাসী লোকজনদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।
মন্তব্য চালু নেই