কক্সবাজারের উখিয়ার কিছু খবর
রোহিঙ্গা প্রীতি ৫১ ব্যক্তি ধরাছোঁয়ার বাইরে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অভিযুক্ত কালো তালিকায় রোহিঙ্গা বান্ধব ৫১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রদান করা হলেও তা কার্যকরে শীতলতা দেখা দেওয়ায় উখিয়া-টেকনাফের অর্ধশতাধিক সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছে। রোহিঙ্গা বান্ধব এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ভোটার, জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ ও পার্সপোর্ট তৈরীসহ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে পৃষ্টপোষকতা করায় সরকার তাদেরকে কালো তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে। যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন এখানকার সচেতন মহল। এছাড়াও ওই সব রোহিঙ্গা বান্ধব লোকজন প্রকাশ্যে তৎপর হয়ে কুতুপালং ও নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে ত্রাণ ও রোহিঙ্গাদের জন্য কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড, স্বাস্থ্য সেবা এবং পানিয় জলের সংকট নিরসনের কথা বলে দেশী বিদেশী ব্যক্তিও সংস্থা থেকে আর্থিক অনুদান নিয়ে লুটপাট ও আত্মসাৎ করেছে। শুধু তাই নয়, এসব লোকজনের নেপথ্যে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে দারুনভাবে উৎসাহিত হচ্ছে। সীমান্ত সংশি¬ষ্ট একাধিক সূত্র মতে, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের কথা বলে নাফ নদী ও পাহাড়ী এলাকা পাড়ি দিয়ে সীমান্তের চোরাইপথে রোহিঙ্গারা এদেশে প্রবেশ করে। তারা কৌশলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের ছত্রছাঁয়ায় থেকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ভোটার, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বিদেশ গমণের প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়ে নানা ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্নসহ ভাবমূর্তীকে বিদেশের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এসব রোহিঙ্গাদের কারণে দেশের আর্থিক, সামাজিক উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা উখিয়া-টেকনাফ ও পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি রোহিঙ্গা বান্ধব ৫১ ব্যক্তির তালিকায় থাকা পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদ ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউনুছ বাঙ্গালী, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মৌলভী আজিজ, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মীর কাশেম, সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ, সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল আমিন, হ্নীলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসকে আনোয়ার, টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর ও সাংসদের সহোদর মৌলভী মুজিবুর রহমান, আবু হারেছ, একেরামুল হক, হাছান আহমদ, নূরুল বশর, রুবিনা আক্তার, সাবরাং ইউনিয়নের ইসমাইল, আব্দুস সালাম, নূর মোহাম্মদ, টেকনাফ সদরের হামজালাল ও খোরশিদা বেগম, সেন্টমার্টিনের আবুল বশর, আব্দুর রহমান, শামশুল আলম ও কবির আহমদ, হ্নীলার আলী আহমদ, আবুল হোছন ও শফিক আহমদ, বাহারছড়ার জোৎন্সা বেগম, হোয়াইক্যংয়ের জাহেদ হোছনের নাম রয়েছে। এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাঈনুল হক ছাড়াও চাকঢালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশংকর রুদ্র, বাইশারির তোফান আলী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, আছারতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উ ক্যা সিং মাষ্টার, বিছামারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলামসহ তালিকায় নাম না আসা আরো শতাধিক রোহিঙ্গা বান্ধব ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়সহ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের উৎসাহ যোগানোর অভিযোগ রয়েছে।
সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত এসব জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, দালালের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযানে ভাটা পড়ায় দিন দিন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। পরবর্তীতে এসব রোহিঙ্গা দেশের বিভিন্ন স্থানে কৌশলে স্থায়ী বসবাসের নিমিত্তে গ্রামে গঞ্জে ঢুকে পড়ছে। এদিকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা টেকনাফে সাংসদ বদির দুই সহোদরের বাড়ি থেকে এক রোহিঙ্গাকে আটক করে সাংসদের ২ ভাইয়ের (শফিক ও ফয়সাল) বিরুদ্ধের টেকনাফ থানায় মামলা রুজু করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, সরকার যেখানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া জোরদার করে তুললেও প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে তালিকাভুক্ত ৫১ রোহিঙ্গা বান্ধব ব্যক্তির অপতৎপরতায় তা ভন্ডুল হতে চলছে। রোহিঙ্গা বান্ধব ৫১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনা থানা পুলিশের হাতে না পৌঁছার কারণে চিহ্নিত রোহিঙ্গাপ্রীতি ওই সব প্রতিনিধিদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না বলে উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন। তবে তার আশংকা কক্সবাজার নয় পুরো দেশের জন্য রোহিঙ্গা এখন জাতীয় সমস্যা হিসেবে রূপ নিয়েছে। কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশের আইসি শহিদুল হক জানান, কতিপয় অসাধু এনজিও, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কারণে প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প ইনচার্জ এসএম সরওয়ার আলম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রোহিঙ্গা বান্ধব জনপ্রতিনিধিরা কালো তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হওয়ায় এখানকার রোহিঙ্গা শিবিরে ত্রাণ তৎপরতা ও বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ কিছু দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে যাতে করে রোহিঙ্গারা নতুন ভাবে অনুপ্রবেশ করে লোকালয়ে বা রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নিতে না পারে সে ব্যাপারে আইন শংখলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
উখিয়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত-৫:
কক্সবাজারের উখিয়ায় মানসিক প্রতিবন্ধি এক মহিলার সম্পত্তি কেড়ে নিতে তৎপরতা চালাচ্ছে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা ওই প্রতিবন্ধি মহিলার পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জামাল উদ্দিন তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে প্রতিবন্ধি ওই মহিলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত ভূমিদস্যু জামাল উদ্দিন ও স্থানীয় প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার ইন্দনে পরিকল্পিতভাবে মানসিক একজন প্রতিবন্ধির পরিবারের উপর এ নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। গত সোমবার সকালে মরিচ্যার কুখ্যাত ইয়াবা পাচারকারী জামাল উদ্দিন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে পুর্বপরিকল্পিত ভাবে মানসিক প্রতিবন্ধি মালেকা বানুর দোকান ঘরে লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। এসময় প্রতিবন্ধি মহিলার ছেলে মেয়েরা বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫জন গুরুতর আহত হয়। আহত কামাল উদ্দিন (৩৫), সাজুয়ারা (২২), জয়নাল উদ্দিন (২৬), জামাল উদ্দিন (২৪) ও ফরিদ আলম (৩৪)। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করায়। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সাজুয়ারা ও জামাল উদ্দিনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। প্রতিবন্ধি মহিলা অসহায় মালেকা বানুর সম্পত্তি জবর দখলের ঘটনায় উখিয়া থানা পুলিশের দারোগা হারুন অর রশিদ গতকাল বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার চিত্র প্রত্যক্ষ করেন। এসময় তিনি অসহায় ওই মানসিক প্রতিবন্ধির জমি জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান। থানার ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান ঘটনার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে স্বীকার করেন।
৫ শতাধিক থাইল্যান্ডে বন্দি বাংলাদেশী:
সাগরে ও দালালদের নির্যাতনে অনেকেই মৃত্যুবরণ করলেও উখিয়া-টেকনাফের উপকূল সাগর পথ দিয়ে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার থামছেনা। মুক্তিপন না দেওয়ায় ৫শতাধিক বাংলাদেশী-মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে দালালদের আস্তানায় বন্দি করে রেখেছে বলে চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই বন্দিশালা থেকে মুঠোফোনে এক যাত্রী এ খবর নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, উখিয়ার ছেপটখালী এলাকার মানবপাচারকারী ফয়েজ আহমদের হাত ধরে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম দরগাহবিল গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া আড়াই লক্ষ টাকা চুক্তির মাধ্যমে টেকনাফের হামিদ দালালের মাধ্যমে সাগর পথে ২ মাস আগে মালয়েশিয়া ফাড়ি জমাতে গিয়ে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে দালালের বন্দিশালায় মুক্তিপনের টাকার অপেক্ষায় বন্দি করে রাখে। ওই বন্দিশালা থেকে জামাল মিয়া বন্ধু শফি আলম নামের এক যাত্রী পশ্চিম দরগাহবিল গ্রামের কাশেম মিয়াকে মুঠোফোনে জানিয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপনের টাকা না দিলে তার ছেলেকে সেদেশের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। থাইল্যান্ডের বন্দিশালায় আটক থাকা জামাল মিয়ার বাবা কাশেম আলী আরো জানান, তার ছেলের সাথে ওই সময় টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ এলাকা দিয়ে সাড়ে ৬ শতাধিক দালালেরা মালয়েশিয়া লোকজন নিয়ে যায়। সে সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে বর্তমানে থাইল্যান্ডের বন্দিশালায় আটক রয়েছে। মুক্তিপনের টাকা দিলেই সে মুক্ত হয়ে মালয়েশিয়া পৌঁছতে পারবে। এ ভাবে কতিপয় পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকজনের ছত্রছায়ায় দালালেরা লোকজন মালয়েশিয়া পাচার অব্যাহত রেখেছে। এতে অনেক মা-বাবার ও স্ত্রীর বুক খালী হয়েছে। অপহরণ করে লোকজন সাগর পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডের বন্দিশালায় আটকিয়ে দালালেরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কতিপয় পুলিশের সহযোগিতায় চলছে মানবপাচার। মাদকদব্য অধিদপ্তর কর্তৃক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তৈরীকৃত তালিকায় এ উপজেলার অর্ধশতাধিক পাচারকারীর নাম থাকলেও পুলিশের সাথে তাদের সখ্যতা থাকায় মানবপাচার থামছেনা। ওই সব পাচারকারীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মাঝে মধ্যে বিজিবি ও পুলিশের হাতে মানবপাচারকারীর সদস্যরা গ্রেপ্তার হলেও গডফাদারেরা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের মানবপাচারের সী-পোর্ট খ্যাত বাদামতলী ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত মানবপাচার অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের হাতে মানবপাচারের গডফাদার হিসেবে খ্যাত নূরুল কবির ও তার স্ত্রী রেবি ম্যাডাম গ্রেপ্তার হলেও তার সহযোগীরা পাচার কাজ নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে। জালিয়াপালং ইউনিয়নের লাল বেলাল, মোস্তাক আহমদ, ফয়েজ আহমদ, রোস্তম আলী, আবুল কালাম, আতা উল্লাহ, আবু ছিদ্দিক, মোজাম্মেল, জাহেদ মেম্বার, জাগির হোছন, আমান উল্লাহ, শামশুল আলম সোহাগ, পালংখালী ইউনিয়নের যুবদল নেতা ও ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা বখতিয়ার আহমদসহ অর্ধশতাধিক লোকজন মানবপাচার কাজে জড়িত থেকে নব্য কোটিপতি বনে গেলেও এসব ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাথা ব্যাথা নেই। এছাড়াও মানবপাচার করে কোটিপতির তালিকায় উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের নলবনিয়া গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে নূরুল হুদা। সে দীর্ঘদিন ধরে উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত থাকায় মানবপাচার কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও ইউপি সদস্য বেলাল মেম্বার সোনারপাড়ার মানবপাচারকারীর গডফাদার হিসেবে খ্যাত জেলে থাকা নূরুল কবির ও তার স্ত্রী রেবি ম্যাডামের সহযোগিতায় শত শত লোকজনকে মানবপাচারের এয়ারপোর্ট হিসেবে খ্যাত উপকূলীয় ঘাট বাদামতলী দিয়ে মালয়েশিয়ায় লোকজন পাচার করে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরকার মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হলেও পুলিশ প্রশাসন চিহ্নিত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দাপটের সাথে মানবপাচার অপপ্রতিরোদ্ধ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারীর বাইরে থাকায় মানবপাচারকারীরা দিন দিন পাচার কাজ বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির জুড়ে যারা মানবপাচার পাচারে জড়িত থেকে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ চালিয়ে গেলেও পুলিশ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করায় তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, আবু ছিদ্দিক, হাফেজ নঈম, আবু তৈয়ব, হাফেজ জালাল, মৌলভী আবু ছালে, জাফর আলম, মোঃ এনাম নির্বিঘেœ ক্যাম্পের অভ্যন্তরে মানবপাচারকারীদের টানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ শহিদুল হক জানান, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে কতিপয় রোহিঙ্গা যুবকেরা মানবপাচার কাজে জড়িত থাকলেও তাদের চিহ্নিত করতে না পারায় গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। উখিয়া থানার ওসি মোঃ জহিরুল ইসলাম খান জানান, মানবপাচারকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মানবপাচার কাজে পুলিশ জড়িত নয় বলে সে দাবী করেন।
স্থানান্তর প্রক্রিয়া:-মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত॥ শিবির ছাড়ছে অনেকে
মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া, লেদা শরণার্থী শিবিরকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। এদিকে এখানকার শরণার্থী শিবির অন্যত্র স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার খবরে অনেক রোহিঙ্গা শিবির ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব ব্যাপার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাঝে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে সরকার সম্প্রতি কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকায় ৫১ জন শীর্ষ রোহিঙ্গা বান্ধর গডফাদার তালিকা করলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থামানো যাচ্ছে না।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের অবস্থান বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সর্বোচ্চ ৩ কিলোমিটারের মধ্যে। আর টেকনাফের নয়াপাড়া ও লেদা শিবিরের অবস্থান সর্বোচ্চ দেড় কিলোমিটারের ব্যবধান। স্থল ও নাফ নদীর জলসীমা অতিক্রম করে স্থানীয় রোহিঙ্গা বান্ধব সিন্ডিকেট ও এখানে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় মিয়ানমার থেকে প্রায় প্রতিদিন শত শত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং অনুপ্রবেশকারীরা প্রাথমিক ভাবে কুতুপালং, নয়াপাড়া ও লেদা শিবিরে অবস্থান নিয়ে থাকে। গতকাল সোমবার দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির ও সংলগ্ন বস্তি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সারা দিন এখান থেকে বিচ্ছিন্নভাবে রোহিঙ্গা শিবির ছেড়ে অন্যত্র সটকে পড়ছে। কুতুপালং শিবির সংলগ্ন বস্তির ডি ব্লকের আয়েশা খাতুন (৪০), খলিল আহমদ (৪৮) পোটলা হাতে বস্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কথা প্রসঙ্গে জানায়, এখানে ৩ বছর ধরে আছি, কিন্তু সরকারী বা বেসকারী কোন সুবিধা পাচ্ছি না। জীবিকার তাগিদে কক্সবাজার শহরে চলে যাচ্ছি। একই বস্তির রোহিঙ্গা শরিফ হোসেন (৬০) সহ আরো কয়েকজন জানালেও আমরা বস্তি ছেড়ে কোথাও যাবনা। যেতে হলে চোখে যেখানে দেখি সেখানে চলে যাব। কুতুপালং শিবিরে তালিকাভুক্ত শরণার্থী নূর কামাল, মোঃ ইউনুছসহ অনেকের অভিমত, শুনেছি সরকার আমাদের এখান থেকে সরিয়ে নেবে। কিন্তু আমরা এতদিনের পরিচিত এলাকা ছেড়ে যেতে রাজি নই। তার ছেয়ে আমাদের দাবী মতে মিয়ানমার ফেরৎ পাঠানো সম্ভব না হলে তৃতীয় অন্য কোন দেশে স্থানান্তর করা হউক।
অন্যদিকে কুতুপালং শরণার্থী শিবির সংলগ্ন বস্তির নিয়ন্ত্রক রোহিঙ্গা জঙ্গির সাথে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী রাকিবুল্লাহ বাহিনী অত্যাচার, নির্যাতন, চাঁদাবাজী ও অপহরণের ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে বস্তির রোহিঙ্গারা শিবির ছাড়ছি রোহিঙ্গা নেতা আবু নঈম, ডি-৪ ব্লকের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, রোহিঙ্গা বস্তি পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু ছিদ্দিক, কমিটির নেতা মোঃ নূর, মোঃ জিয়া, আবু তৈয়ব, মনিরুজ্জামান, নূর হোসেন, আব্দুল আলমসহ রোহিঙ্গা নেতারা জানায়। রাকিবুল্লাহ বাহিনীর প্রধান রাকিবুল্লাহ, সন্ত্রাসী ছৈয়দ, মনির, জঙ্গি আব তৈয়ব, জাবেদ, ছৈয়দ আলম, আবুল হাসিম, সাহেদ, সাব্বিরসহ অর্ধশতাধিক সশস্ত্র জঙ্গি সন্ত্রাসী সাধারণ রোহিঙ্গাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছে বলে রোহিঙ্গাদের অভিযোগ। তারা আরো অভিযোগ করে জানায়, গত ১মাসে মিয়ানমারের সীমান্ত সংলগ্ন রোহিঙ্গা গ্রাম থেকে উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনী শতাধিক মহিলা এনে নানা অনৈতিক কাজ সহ সমূদ্র পথে মালয়েশিয়া পাচার করেছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে রোহিঙ্গা বস্তি শরণার্থীদের ১০ জানুয়ারি থেকে আইওএমএর সহায়তায় তালিকাভূক্ত করে শরণার্থী মর্যাদা দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাসে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাকিব বাহিনীর রাকিবুল্লাহ, আজগর আলীসহ অর্ধশতাকি রোহিঙ্গা শরণার্থী ঘর পিচু ৩ শ থেকে ৫ শ টাকা হারে চাঁদা দিতে বাধ্য করছে। ইতিমধ্যে বস্তি এলাকায় কয়েক হাজার বস্তি ঘরের অন্তত সহস্রাধিক ঘর থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেছে।
তাদের মতে বাংলাদেশে নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের জাতিসংঘ, আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর সহায়তায় জানুয়ারির ১০ তারিখ থেকে গননা করে তাদের তালিকাভূক্তির মাধ্যমে যাবতীয় শরণার্থী মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে মর্মে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরএসওর পক্ষ হয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী রাকিব বাহিনী প্রধান রাকিবুল্লাহ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে সীমান্ত পেরিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। প্রায় অর্ধলক্ষাধিক অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার অবস্থান কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তির কথিত নিয়ন্ত্রক আরএসও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট রাকিবুল্লাহ বাহিনী উগ্রবাদী জঙ্গি রোহিঙ্গা সংগঠন গুলো ইন্দনে সরকারের শরণার্থী স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাঁধা গ্রস্থ করতে ও মিয়ানমার থেকে নতুন ভাবে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের উৎসাহ যোগাচ্ছে এ বাহিনী। উক্ত রাকিব বাহিনীর প্রধান রাকিবুল্লাহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই, বিজিবি পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার কথিত সোর্স হিসেবে কাজ করার অজুহাতে সাধারণ রোহিঙ্গারা তার কাছে পুরোদমে জিম্মি হয়ে আছে বলে স্থানীয় কুতুপালং গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান, খলিল আহমদ, ভুট্টো, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বখতিয়ার আহমদ সহ অসংখ্য রোহিঙ্গারা জানান। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান রোহিঙ্গা বস্তির নিরাপত্তায় বা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিনায়ক খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আগের মতই অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকার পরও চিহ্নিত কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তা থাকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ পুরোপুরি রোধ করা যাচ্ছে না। এব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় হামলায় আহত ২৫:
কক্সবাজারের উখিয়ার রতœাপালং উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে ১৬ ডিসেম্বর থেকে মাস ব্যাপী বিজয় মেলায় স্থানীয় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মেলায় আগত শত শত দর্শনার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রোববার রাত ১০ টার দিকে মেলা প্রাঙ্গনে স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সাথে মেলা আয়োজকদের তুমুল সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় মহিলা-শিশু ও শিল্পীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রাতে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আদিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্থানীয় যুবক তাসহিদ চৌধুরী ছোটনের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী পাইন্যাশিয়া গ্রামের ২০/২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে রোববার রাতে মেলা চলাকালে অতর্কিত ভাবে এ হামলা চালায়। মেলা কমিটির পরিচালক ফরুক আহমদ চৌধুরী বলেন, উক্ত যুবক তাসহিদ মেলা কমিটির সাথে সংশ্লি¬ষ্ট থাকলেও তার উদ্ব্যত আচরণের প্রেক্ষিতে মেলা কমিটি থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সে রোববার রাতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মেলা প্রাঙ্গনে এসে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। মেলা কমিটি ওই চাঁদা অপরাগতা প্রকাশ করলে অতর্কিত ভাবে তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এঘটনায় মেলা কমিটির প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অনেক নারী-শিশু, শিল্পী ও পুরুষ আহত হয়েছে। এব্যাপারে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান। উলে¬খ্য ১৬ ডিসেম্বর থেকে মুক্তিযুদ্ধের কমান্ড কাউন্সিল উখিয়া কর্তৃক মাস ব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়।
তাসহিদ চৌধুরী ছোটনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উক্ত মেলায় ১০ শেয়ারের মধ্যে আমি ৩ শেয়ারের মালিক। মেলায় পূর্ব কর্মসূচী পরিপন্থি অশ¬ীল নাচ-গান, মদ-জুয়ার আসর ফলাও করে পত্রিকায় রিপোর্ট আসার কারণে আমি নিজেই বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত চাইলে মেলা কমিটির লোকজন উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালায়। উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান পালং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চলমান মেলায় হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, মেলা আয়োজকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া কথা বলা হয়েছে। তবে রাত সাড়ে ৮ টা এ রিপোর্ট লেখাকালীন পর্যন্ত মেলা কমিটির পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
যুবদল-ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা:
রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদান, কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ভোটারদের উপর সরকার দলীয় এমপি সায়মুন সরওয়ার কমলের ইন্দনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নগ্ন হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রার্থী মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরীর সুনিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে জেলা বিএনপি ঘোষিত মঙ্গলবার অর্ধদিবস হরতালের সমর্থনে কর্মসূচীর আলোকে উখিয়া উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গতকাল সোমবার কোটবাজার ষ্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম গফুর উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের সহ- সভাপতি আহছান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম, অর্থ সম্পাদক চৌধুরী আবু, হলদিয়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ হোছন, সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম, হলদিয়া উত্তরের আহবায়ক মনজুর আলম, যুগ্ন আয়বায়ক মোঃ বেলাল, গিয়াস উদ্দিন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, রাজাপালং দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন সিকদার, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফয়সাল সিকদার টিটু, আলমগীর সিকদার হান্নান, রিদুয়ানুর রহমান বাপ্পী, যুবদল নেতা মাহফুজ উদ্দিন বাবু, সাইফুল, সালাম, মহিউদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, সোলতান, নাছির, আমির, আব্দুস সালাম, মোজাম্মেল ও সাইফুল। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রিদুয়ান ছিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আরফাত চৌধুরী, উখিয়া ডিগ্রী কলেজের আহবায়ক শাহনেওয়াজ সিরাজী আপেল, যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন, উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ, খাইরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান, ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হক, সিফাত, সালামত, টিপু, ইব্রাহীম কামাল, রবিন, ইমরান, রিদুয়ান, জাফর, আনসার, নোমান, দিদার, খোকন, জাহাঙ্গীর, টিটু, শরিফ, জাহেদ, রাসেল, শফিক প্রমূখ। প্রতিবাদ সভা সঞ্চালনায় ছিলেন, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সিকদার।
নারী সহিংসতা রোধে সভা:
কক্সবাজারের উখিয়ায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সমমনা সংস্কার প্রতিনিধির সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পিত উখিয়া চাইয়ের আহবায়ক নূর মোহাম্মদ সিকদার। বক্তব্য রাখেন রোজিনা ইসলাম রুজি, জিয়াউল হক আজাদ, স্বপন বড়–য়া, মৌলানা রফিকুল ইসলাম, হারাধন চক্রবর্তী, রহিমা বেগম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোনআন থেকে তেলোয়াত করেন উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রফিক। এসময় বক্তারা বলেন সমাজে কুসংস্কার অনৈতিক আবদার রুখতে হবে। নারীকে তার অধিকার দিতে হয়ে। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন সৌহার্দ কর্মসুচী। সহযোগিতায় ছিলেন কেয়ার বাংলাদেশ। তবে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
মন্তব্য চালু নেই