প্রাইভেট না পড়ায় ছাত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে

প্রাইভেট না পড়ার জেরে মাদারীপুরের কালকিনিতে জাসিয়া আক্তার (১১) নামের এক শিক্ষার্থীকে বেদম মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন সরোয়ার হোসেন নামের এক শিক্ষক।

এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীর বাবা আতিকুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী কালকিনি পৌর এলাকার ৩নং রাজদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

হাসপাতাল ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজদী গ্রামের আতিকুর রহমান শিকদারের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জাসিয়া আক্তার তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেনের কাছে দীর্ঘদিন প্রাইভেট পড়ে আসছে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে বর্তমানে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দিলে প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার বিকালে জাসিয়া আক্তারকে শ্রেণিকক্ষে বেদম মারধর করেন।

শিক্ষকের পিটুনিতে জাসিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মেয়েকে মারধরের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেনর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ওই শিক্ষর্থীর বাবা আতিকুর রহমান শিকদারও।

এ বিষয় অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন।

শিক্ষার্থীর মা আফরোজা বেগম বলেন, প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়ায় আমার মেয়েকে শিক্ষক মারধর করেছেন। এমনকি আমার স্বামীকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক সরোয়ার হোসেন বলেন, এসব ঘটনা মিথ্যা ও সাজানো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীকে আমরা দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। তাকে শারীরিকভাবে যে নির্যাতন করা হয়েছে তা অমানবিক। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই