ঘোলের ওপর অবিচার করবেন না!
ঘোল অতি সুস্বাদু পানীয়। যার অপর নাম মাঠা। তবে বাংলা ভাষায় ঘোল শব্দটি অকারণে নেতিবাচক ব্যবহারে দুষ্ট। ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো’ কিংবা ‘সে আমাকে ঘোল খাইয়েছে’ -এমন ধরনের কথা শুনে ঘোলের ওপর অবিচার করবেন না।
ঘোল কী: ঘোল বা ছানার পানি বিভিন্ন দেশে একটি উপাদেয় পানীয় হিসেবে পরিচিত। দুধ হতে ছানা অপরাসরণের পর অবশিষ্ঠাংশই ঘোল নামে পরিচিত। এতে দুধের কেজিনপ্রোটিন (Casein) ছাড়া আর সকল উপাদানই বিদ্যমান। এটি মূলত পনির উৎপাদনের একটি প্রধান উপজাত।
গরমকালে দিন লম্বা হয়। সূর্য রশ্মির তাপে এসময় শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এই পানির ঘাটতি পূরণে অনেক বেশি তরল পান করা প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে ঘোল হতে পারে আদর্শ। গরমে ঘোল দেবে শান্তির পরশ।
কাঠফাটা রোদের দিনে ঘরের তৈরি ঘোল খেয়ে দিনভর আরামে থাকুন। চলুন জেনে নেই কী কীভাবে তৈরি করা যায় ঘোল-
লেবু ও ঘোল
দুই টেবিল চামচ দই এক গ্লাস পানিতে দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। স্বাদের জন্য সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। একটি লেবুর অর্ধেক অংশের রস চিপে দিন। ক্লান্তিকর দিনের শেষে বাসায় ফিরেই এই পানীয়টি পান করুন।
কাঁচামরিচ ও ঘোল
দই, পানি, কাঁচামরিচ ও কারিপাতা একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। কাঁচামরিচ ও কারিপাতা হামানদিস্তায় পিষে নিয়েও ঘোলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি একটি দক্ষিণ ভারতীয় উপাদেয় পানীয়। যারা মসলাদার পানীয় খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য অতুলনীয়।
জিরা ও ঘোল
সুস্বাদু ও কম মসলা যুক্ত স্বাদের জন্য আধা কাপ দইয়ের মধ্যে আধা টেবিল চামচ জিরা গুঁড়ো, এক চিমটি লবণ ও এক কাপ পানি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। আপনি এতে কয়েকটি পুদিনা পাতা বা ধনে পাতাও দিতে পারেন। সব শেষে এক টুকরো বরফ দিয়ে পান করুন।
খনিজ লবণ ও ঘোল
খনিজ লবণ ও জিরা গুঁড়ো ঘোলের সঙ্গে মেশান। পানীয়টি যাতে ঘন না হয়ে কিছুটা পাতলা হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এর সাথে পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিতে পারেন।
পুদিনা ও ঘোল
এক বাটি তাজা পুদিনা পাতা, এক কাপ দই এবং ৩০০ মিলিলিটার পানি মেশান। এর সঙ্গে আদা গুঁড়ো ও আধা টেবিল চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে দিন। তারপর পানীয়টি ছেকে নিন এবং ফ্রিজে ২০ মিনিট রেখে পান করুন।
মন্তব্য চালু নেই