শেখ রাসেলের নামে ৪৯০টি মিনি স্টেডিয়াম
দেশের প্রতি উপজেলায় একটি করে যে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, সেগুলোর নামকরণ হবে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই মরহুম শেখ রাসেলের নামে। উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামগুলো শেখ রাসেলের নামে করার অনুমতি চেয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গত ৪ এপ্রিল আবেদন করেছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছে। ১৮ এপ্রিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অনুমতিপত্র দিয়েছে ট্রাস্ট।
প্রকল্পের প্রথম ধাপে ১৩১টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ৪৯০টি উপজেলায় নির্মাণ হবে স্টেডিয়ামগুলো। একটি প্রকল্পের অধীনেই সব উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমি অধিগ্রহণ না করে উপর্যুক্ত স্থানে খাসজমি খুঁজে স্টেডিয়াম নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন, তাই প্রকল্পটি একাধিক ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য খাসজমি পাওয়া গেছে ৫০ জেলার ১৩১টি উপজেলায়।
গত বছর মে মাসে প্রথম ধাপের স্টেডিয়ামগুলোর তালিকা অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জায়গা নির্বাচন ও দরপত্র আহ্বান শেষে এ বছরের গোড়ার দিকেই স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ শুরু করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। প্রথম ধাপের ১৩১টি স্টেডিয়ামের নির্মাণ ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
মিনি স্টেডিয়াম হলেও সেখানে থাকছে না কোনো গ্যালারি। প্রকৃতপক্ষে এগুলো হবে মাঠ। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন সবার জন্য এ স্টেডিয়ামগুলো উন্মুক্ত রাখতে। মাঠের এক পাশে থাকবে কেবল একটি একতলা ভবন। সেখানে থাকবে দুটি ড্রেসিং রুম, একটি অফিস রুম এবং নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা ৩টি করে ৬টি টয়লেট। ভবনের সামনে ৩৫টি আরসিসি বেঞ্চ থাকবে। বাকিটা খোলা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) সুকুমার সাহা বলেন, ‘প্রথম ধাপের ১৩১টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ চলছে। পাশাপাশি চলছে দ্বিতীয় ধাপের প্রকল্প তৈরির কাজ। ইতোমধ্যে ১৫০টিরও বেশি উপজেলায় জায়গা মিলেছে। এগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে। জায়গাগুলো চূড়ান্ত হলে দ্বিতীয় ধাপের প্রকল্প তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে।’
কোনো নির্দিষ্ট খেলার জন্য নির্ধারিত থাকবে না উপজেলা পর্যায়ের এ মিনি স্টেডিয়াম বা মাঠগুলো। নির্মাণ শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামগুলো বুঝিয়ে দেবে উপজেলা পরিষদকে। তারা স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের সঙ্গে বসে মাঠ ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি করবে। ক্রীড়া প্রশাসন প্রথমে চেয়েছিল মাঠের চারদিকে অন্তত কাঁটাতারের বেড়া দিতে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্টেডিয়াম উন্মুক্তই থাকছে।
মন্তব্য চালু নেই