যুব ও ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ খালেদার
সারাদেশে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রোববার রাতে গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সদ্য কারামুক্ত যুবদলের নেতাকর্মীরা দেখা করতে গেলে এ নির্দেশ দেন বিএনপি প্রধান। এ সময় সদ্য কারামুক্ত ৩৯ জন নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।
যুবদল নেতাদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘অনেকেই ব্লেম করে সারাদেশে তোমাদের কমিটিগুলো করা হচ্ছে না। যুবদলের ১০ বছর হয়েছে কমিটি নেই। ছাত্রদলের কমিটি ১০ বছর হয়েছে। আমরা কাজ করতে পারি না। তাই তোমাদের এই কমিটিগুলো করতে হবে।’
এ সময় তিনি বিগত দিনে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘যারা আন্দোলন বেশি করেছে তাদের ধরে নিয়ে যায়, গুম করে ফেলে, খোঁজ পাওয়া যায় না। তারা যে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাদেরকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। ভাবে এদেরকে শেষ করে দিতে পারলেই বিএনপি শেষ হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘যুবদলে আমাদের অনেক ছেলে-পেলে আছে। যুবদলের কমিটি দিয়েছে কিন্তু সবাইকে কমিটিতে স্থান দিতে পারিনি। আমি বলে দিয়েছে যারা বাদ পড়েছে তাদেরকে মূল দল বিএনপিতে দেওয়া হবে। এবং যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলেছি। যারা যুবদলে বাদ পড়েছে তাদেরকে বিভিন্ন জেলায় মূল দলে নিয়ে আসতে পারি। যাতে নেতৃত্ব তৈরি হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুবদলে জায়গা না হলে মন খারাপ করার কিছু নেই। মূল দলে যাবে তা নাহলে স্বেচ্ছাসেবক দল আছে সেখানে যাবে।’
নবগঠিত ঢাকা সিটি বিএনপির উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ঢাকা সিটিকে আমরা সাজিয়েছি। এখানে ছাত্রদল থেকে যারা উঠে এসেছে তারা জায়গা পেয়েছেন। আমি তাদেরকে বলেছি সারা ঢাকা সিটিতে কমিটিগুলো করতে হবে। ঢাকাতে আগে যুবদল, ছাত্রদলের কমিটিগুলোর মূল দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। এখন কিন্তু সকলের সঙ্গে সমন্বয় হয়। আমরা যে কোনো কর্মসূচি দেই না কেন এটা সফল কর্মসূচি হয়। তাই দেশের বিভিন্ন জেলায় কমিটিগুলোও করতে হবে। কমিটি থাকলে দল শক্তিশালী হয়।’
যুবদল নেতাদের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘জেল-জুলুম, মামলা-হামলা সব আছে তারপরও নির্ভয়ে তোমরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছ। এই জন্য তোমাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতেও তোমারা সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবে। তোমাদের নেতাদের সঙ্গে যাতে কর্মীদের ভালো সম্পর্ক থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মরতাজুল করিম বাদরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, মহানগর উত্তর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মিলটন প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই