প্রধানমন্ত্রী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন : আল্লামা শফি
কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি ও মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি বলেছেন, স্বীকৃতি ও সমমান দেয়ায় আপনি জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বুধবার বিকেলে বগুড়ার চকলোকমান মহিলা মাদ্রাসায় খতমে বোখারি ও ইসলাহি ইজতেমায় তিনি এ কথা বলেন।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ‘বেফাক’-এর সভাপতি ও হেফাজত আমির আল্লামা শফি বলেন, স্বীকৃতি দিয়ে আপনি জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এই স্বীকৃতির ফলে দেশের আলেমগণ সমাজে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন।
এসময় তিনি আলেমদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ইসলাম জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। কেউ যাতে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদে জড়িত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলামের বগুড়া জেলা আমির মাওলানা আসাফদ্দৌেলা মোকাররমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, আরিফুল ইসলাম জিাহদী, মোকাদ্দেস হোসেন, মোস্তফা আল নূরী, হাফেজ ইয়াকুব নাজির প্রমুখ। ইজতেমায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ও মাদ্রাসাছাত্র-শিক্ষকরা অংশ নেন।
এর আগে আল্লামা শফি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বেলা দু’টায় মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন বেলজিয়াম মাঠে অবতরণ করেন। ইজতেমা শেষে বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি আবারো হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমর্যাদা ঘোষণা করেছে সরকার। এখন থেকে দাওরায়ে হাদিস ইসলামিক স্টাডিজ ও এরাবিকে মাস্টার্সের মর্যাদা পাবে।
মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আলেমদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক কওমি আলেম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে, দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি দেয়া হলো।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন হবে। আলেমদের নিয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছে। তারাই এই স্বীকৃতির আইনি ভিত্তি দাঁড় করাবেন। এ সময় তিনি কওমি মাদ্রাসা স্বীকৃতি বাস্তবায়নে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে তিন শতাধিক আলেম এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের শীর্ষ আলেম প্রায় সবাই এখানে ছিলেন। সনদ ঘোষণা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শোকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন আলেম ওলামারা। প্রধানমন্ত্রী ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় আল্লাম শফির মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
মন্তব্য চালু নেই