বেরোবি তিন শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকোর্টের রুল

বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) তিন শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. একে এম নূর-উন-নবী ও রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর এর কাছে জানতে চেয়ে এ রুল জারি করেন।

পুলিশের দায়েরকৃত অজ্ঞাতনামা মামলায় সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও হয়রানিমূলকভাবে শিক্ষকদের পদোন্নতি স্থগিত ও জ্যেষ্ঠতা না দেওয়ায় এক রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আজ এ আদেশ দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বেরোবি’র উপাচার্য ড. এ কে এম নূর-উন-নবী’র অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষকদের গত ৩/৩/২০১৫ তারিখে উপাচার্যের মদদপুষ্ঠ দুস্কৃতিকারীরা লাঞ্ছিত করে। ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মুখস্থ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলে পুলিশী বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের এসআই শফিকুল ইসলাম ০৩/০৩/২০১৫ তারিখে অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জনের নামে রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার ও প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে নাম উল্লেখ না থাকলেও ১৭/৪/২০১৫ তারিখের ৪৩তম সিন্ডিকেটে শিক্ষক সমিতিরর সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক গণিত বিভাগের শিক্ষক ড. আরএম হাফিজুর রহমান সেলিম ও ১৮/০৯/২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ৪৫তম সিন্ডিকেটে শিক্ষক সমিতিরর সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের যুগ্ম সদস্য সচিব ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাইদুর রহমান কে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে তাঁদের পদোন্নতি স্থগিত রাখেন উপাচার্য ড. এ কে এম নূর-উন-নবী।

ঐ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুহিবুল হক ঘটনার সাথে উল্লিখিতদের সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমাণ না পেয়ে ২৯/১০/২০১৫ চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন, এবং মামলাটি নথিজাত হয়। এরপর উপাচার্য ২/৭/২০১৬ তারিখে ৫০তম সিন্ডিকেটে উল্লিখিত তিন শিক্ষকের যোগদানের দিন থেকে পদোন্নতি কার্যকর হবে উল্লেখ করে নিয়োগপত্র ইস্যু করেন। উপাচার্যের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত এ আদেশ দেন।



মন্তব্য চালু নেই