স্বামী চাইলে স্ত্রীর, স্ত্রী চাইলে স্বামীর! সব গোপন তথ্য জানাবে সরকার

স্বামী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় বিমানচলক। বিলাসবহুল জীবন। তবে ইদানিং তার কাজকর্মে নানা রকম সন্দেহের উদ্রেক করে স্ত্রীর। বাড়িতে সময় দেন না, টানা ফ্লাইট থেকে ফিরেও ফোন নিয়ে ব্যস্ত। ঠিক করে কথা পর্যন্ত বলেন না। সত্যিই কোনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন কিনা তা জানতে স্বামীর স্যালারি অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য পেতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। RTI অ্যাক্টে তিনি এ নিয়ে আপিল করেন।

প্রশ্ন থেকে যায়, কারও ব্যক্তিগত গোপন তথ্য কি এ ভাবে দেওয়া যায়?

বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যায় বৈকি। যদি স্বামী বা স্ত্রী ডিভোর্সের মামলা বা সন্তান প্রতিপালনের খোরপোষের জন্য এ ধরনের কোনও তথ্য জানতে চান সে ক্ষেত্রে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে সরকার। সেন্ট্রাল ইনফর্মেশন কমিশন বা CIC এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, দিন দিন এ ধরনের তথ্য জানার জন্য আবেদন বাড়ছে।

ইনফর্মেশন কমিশনার বিমল জুলকা বলেন, ‘বেশ কিছু মানবিক কেস কমিশনের কাছে এসেছে যেখানে বহু দুঃখজনক ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে। গত কয়েক বছরে এ ধরনের তথ্য জানতে চেয়ে আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।’ তিনি RTI অ্যাক্টের 8(1) (j) ধারার কথা উল্লেখ করে জানান, আবেদনের গভীরতা এবং মানবিক দিক দেখে তবেই তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

এই ধারায় বলা রয়েছে, ‘ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে কোনও বাধা নেই, যদি সেই তথ্য দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে না থাকে এবং কারও অত্যন্ত ব্যক্তিগত জীবনে কোনও অচেনা ব্যক্তি প্রবেশ করার চেষ্টা না করেন। এ ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসার (CPIO) বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই করে বৃহত্তর স্বার্থে এ ধরনের তথ্য জানাতে পারেন।’



মন্তব্য চালু নেই