বড়হাটে ব্যাপক গোলাগুলি, পুলিশ সদস্য আহত
মৌলভীবাজার জেলার বড়হাট এলাকার জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে মেলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কিভাবে তিনি আহত হয়েছেন তা জানা সম্ভব হয়নি এবং তাৎক্ষণিকভাবে তার নামও জানা যায়নি।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টা ৪১ মিনিট থেকে ১টা পর্যন্ত জঙ্গি আস্তানা থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সকাল থেকে থেমে থেমে ছলে গোলাগুলি।
দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে গোলাগুলির পরিমান বেড়ে যায়। ১২টা ৫০ মিনিটে বিকট শব্দে দুবার বিস্ফোরণ ঘটে। এর চারমিনিট পরই একজন পুলিশ সদস্যকে রক্তাত অবস্থায় হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম জানা যায়নি।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল বলেন, ‘আহত পুলিশ জেলা পুলিশের একজন সদস্য। কীভাবে আহত হয়েছেন এখনো জানা যায়নি।’
এর আগে নাসিরপুর জঙ্গি আস্তানায় অভিনযান চলে। নাসিরপুর ও বড়হাটের জঙ্গি আস্তানা দুটির মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ভোর থেকে প্রচণ্ড ঝড় আর বৃষ্টিতে থমকে ছিল মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বড়হাট এলাকার জঙ্গি আস্তানার অভিযান।
গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’র (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, দিনভর বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নাসিরপুরে সোয়াত টিম অভিযান সফলভাবে সমাপ্ত করেছে। আলো স্বল্পতার কারণে বড়হাটে রাতে অভিযান চালানো সম্ভব হবে না।
এদিকে বড়হাটের আস্তানায় অভিযানের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বড়হাটের আস্তানা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুর থেকেই জঙ্গি আস্থানা এলাকাটি রেকি করা হয়েছে। সেইভাবেই অপারেশন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরে প্রবেশ মুখের প্রতিটি রাস্তায় চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। জনসাধারণকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে পুলিশ।
মৌলভীবাজারের ওই দুটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর রাতেই অভিযান চালায় পুলিশ। পরে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় সোয়াত, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, সিটিসিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১ নং খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুরের আস্তানায় গত ২৮ মার্চ বিকেলেই অভিযান চালায় সোয়াত টিম।
আলো স্বল্পতার জন্য ওইদিন আস্তানাটির অভিযান শেষ করতে পারেনি তারা। বুধবার (২৯ মার্চ) বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই ২য় দিনের মতো অভিযান চালিয়ে সফলভাবে আস্তানাটি নিয়ন্ত্রণে নেয় সোয়াত টিম। সোয়াত টিম ওই অভিযানের নাম দেয় আপারেশন হিটব্যাক। অপারেশন চলাকালে ওই আস্তানার জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে নারী শিশু সহ ৭/৮ জন জঙ্গি নিহত হয়।
নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। নিহত জঙ্গিরা নব্য জেএমবির বলেও ধারণা করা হচ্ছে বলে প্রেস বিফ্রিংয়ে জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।
মন্তব্য চালু নেই