‘জিনের টানে’ তালগাছের মাথায় এক স্কুলছাত্রী

এক কিশোরীর কাণ্ড দেখে হতবাক এলাকাবাসী। গতকাল (২৬ মার্চ) ৫০ ফুট উচ্চতার একটি তালগাছের মাথায় চড়ে বসে কিশোরী হাবিবা খাতুন। এ সময় তাকে নামাতে গেলে সে চিৎকার করে বলতে থাকে ‘তালগাছই আমার বাড়ি, তালগাছই আমার ঘর। তাই আামি এখানেই থাকবো। আমি নামবো না।’

গোপালগঞ্জের সালথা উপজেলার কুমারকান্দা গ্রামে এই অবাক করা কাণ্ডটি ঘটেছে। এ ঘটনাকে ওই কিশোরীর উপর জিনের আসর বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তাদের ধারণা জিনের টানেই সে এই বিশাল তালগাছে উঠে গেছে। আবার কেউ কেউ হাবিবার উপর কোনো অশরীরি আত্মা ভর করেছে বলেও মন্তব্য করছেন।

মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণদিয়া বাকু মৃধা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা খাতুন আকস্মিকভাবে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। একপর্যায়ে বাড়ির লোকজন বাড়ির পাশের ৫০ ফুট উচ্চতার একটি তালগাছের মাথায় হাবিবা খাতুনকে দেখতে পান।

স্থানীয় লোকজন তাকে তালগাছ থেকে তাকে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। কিন্তু সে কারো কোনো অনুরোধে সাড়া দেয়নি। অনেকে তাকে নামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। অবশেষে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় উঁচু তালগাছের মাথা থেকে নামানো হয় স্কুলছাত্রী হাবিবা খাতুনকে। ওইদিন রাত ১১ টার দিকে তাকে নামিয়ে আনা হয়।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সাইফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘তালগাছের মাথায় থাকা অবস্থায় হাবিবা কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।’ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, ‘হাবিবা মানসিক ভারসম্যহীন বলে তাদের মনে হয়েছে। এ বিষয়ে হাবিবার পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।’



মন্তব্য চালু নেই