জুতো পালিশ করে দিনে ৬০ হাজার টাকা রোজগার করছেন এই ব্যক্তি
আগে একটি ফটো ল্যাব-এ কাজ করতেন ডন। সেই পেশায় রোজগার তেমন বেশি ছিল না বলেই তিনি জুতো পালিশ শুরু করেন।
কোনও কাজই যে আসলে ছোট নয়, তা যেন নতুন করে প্রমাণ করছেন ডন। জুতো পালিশ করে লাখপতি হয়ে গিয়েছেন তিনি।
তাঁর পেশা অন্যদের জুতোকে চকচকে পরিষ্কার করে তোলা। রোজগার? দিনে ৬০ হাজার টাকা।
শুনতে যতই বিস্ময়কর লাগুক না কেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের বাসিন্দা ডন ওয়ার্ডের দাবি, স্রেফ জুতো পালিশ করে মাসে ১৮ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন।
অর্থাৎ তাঁর দৈনিক রোজগার দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় মুদ্রায় ৬০ হাজার টাকার মতো।
কিন্তু জুতো পরিষ্কারের কাজে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ রোজগার কী ভাবে সম্ভব হয়? ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ডন জানাচ্ছেন, তাঁর কাস্টমারের সংখ্যা অত্যধিক।
এবং কাস্টমাররা খুশি হয়ে তাঁকে পারিশ্রমিক বেশ মোটা রকমই দিয়ে থাকেন। তা থেকেই রোজগারের পরিমাণও বাড়ে তাঁর।
কিন্তু ডনের বিশেষত্বটা কী, যাতে এত বেশি গ্রাহক এবং মোটা পারিশ্রমিক হস্তগত করা সম্ভব হয় তাঁর পক্ষে? ডন জানাচ্ছেন, তাঁর স্ট্র্যাটেজি হল, রাস্তার পথচারীদের জুতোয় সামান্য নোংরা দেখলেই, সেই নিয়ে কটূক্তি ছুড়ে দেওয়া।
‘মাছ ধরার জন্য আপনি কী করেন? টোপ দেন, তাই তো? আমিও ঠিক তেমনই কাস্টমার ধরার জন্যে টোপ দিই। জুতো পালিশের পসরা সাজিয়ে রাস্তায় বসি। তার পর সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীদের জুতোর দিকে নজর রাখি।
কারোর জুতোয় সামান্য নোংরা দেখলেই, সেই নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ শুরু করি। তাতে আপনা থেকেই তাঁরা আমার কাছে জুতো পালিশের জন্যে চলে আসেন;’ জানাচ্ছেন ডন।
আর ডনকে দিয়ে যিনি একবার জুতো পালিশ করিয়েছেন, তিনি নাকি বার বার তাঁর কাছেই ফিরে আসার জন্য মুখিয়ে থাকেন। কেন?
ডন জানাচ্ছেন, ‘আমি তো শুধু জুতো পালিশ করি না। আমি আমার গ্রাহকদের সঙ্গে গল্প করি, নানা রকমের চুটকি শোনাই, হাসি-ঠাট্টা করি। আমার কাজের পাশাপাশি আমাকেও ভালবেসে ফেলেন তাঁরা।’
এই কৌশলেই দৈনিক ৯ হাজার ডলারের মতো রোজগার করছেন ডন। ভারতীয় মুদ্রায় যার অর্থ ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি। আগে একটি ফটো ল্যাব-এ কাজ করতেন ডন। সেই পেশায় রোজগার তেমন বেশি ছিল না বলেই তিনি জুতো পালিশ শুরু করেন।
কোনও কাজই যে আসলে ছোট নয়, তা যেন নতুন করে প্রমাণ করছেন ডন। জুতো পালিশ করে লাখপতি হয়ে গিয়েছেন তিনি।-এবেলা
মন্তব্য চালু নেই