গুলিস্তান থেকে মিরপুর যাওয়ার পথে আমি মাশরাফিকে ইচ্ছামত পচালাম: আশরাফুল

জাতীয় দলে না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় আশরাফুল। মাঝে বেশ কয়েকদিন ধরে ফেইসবুকে দেখা যায়নি তাকে। তবে আবারও ফেইসবুকে ফিরেছেন আশরাফুল। ফিরে জাতীয় দলে খেলার আগ্রহ আর মাশরাফি বিন মতুর্জার সঙ্গে দারুণ কিছু সময় কাটানোর গল্পই বললেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক।

আশরাফুলের ফেইসবুক স্ট্যাটাসটা ছিল এমন। ‘গতকাল মাশরাফি আর আমি দুই বন্ধু অনেকটা বেকুবের মত কাজ করেছি। অবশ্য মাশরাফির জন্যই এমনটা হয়েছে। গতকাল ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ এর দলবদল ছিল। প্রতি বছর এই দল বদলটা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হয়। গতকাল হয়েছে শেরে বাংলাতে।

সকালেই ফোন দিল মাশরাফি…দোস্ত তুই আর আমি এক সাথে দলবদল দেখতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে যাব। দেশে থাকলে দুই বন্ধু এক সাথে সময় কাটান হয় বেশি। যেয়ে দেখি দলবদল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে না, শেরে বাংলাতে হচ্ছে। গুলিস্তান থেকে গাড়ি আবার মিরপুরে ঘুরলাম। পথে ইচ্ছেমত মাশরাফি কে পচালাম।

এবার লিগে মাশরাফি খেলবে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে, আমি খেলব কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে। কলাবাগান বড় অংকের টাকাই দিচ্ছে আমাকে। মাশরাফি ওয়ানডে আর টি টোয়েন্টি খেলতে আজ শ্রীলঙ্কা চলে যাচ্ছে।মন কিছুটা খারাপ। টিমে থাকলে আজ আমিও প্রিয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতাম।

গতকাল অনেক রাত পর্যন্ত ছাদে মাশরাফি আর আমি আড্ডা দিলাম। বন্ধু টা দুপুরের ফ্লাইটে শ্রীলঙ্কা চলে যাচ্ছে। আমি এবারের লিগের জন্য প্রস্তুত করছি নিজেকে। ৭ এপ্রিল থেকে লিগের খেলা শুরু। ভালো খেলতে চাই। আর এখন ভালো খেললেই টিমে চান্স পাওয়া যাবেনা, এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করতে হবে। সবার দোয়া চাই। বাকিটা আল্লাহ এর ইচ্ছা।’

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১৩ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হন আশরাফুল। ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েও ব্যাট-বলকে বিদায় বলেননি তিনি। ব্যক্তিগতভাবে চালিয়ে গেছেন অনুশীলন। খেলেছেন দেশের বাইরেও। সবশেষ গত বছরের ১৩ আগস্ট নিষেধাজ্ঞার শেকল থেকে মুক্তি পায় আশরাফুল।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় আশরাফুলের। ৬১ টেস্ট খেলে তাঁর সংগ্রহ ২৭৩৭ রান। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি সেঞ্চুরি ও আটটি হাফ সেঞ্চুরি। আর ১৭৭টি ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর রান তিন হাজার ৪৬৮। রয়েছে তিনটি সেঞ্চুরি ও ২০টি হাফ সেঞ্চুরিও।



মন্তব্য চালু নেই