পীর মুরিদকে গলা কাটার আগে গুলি

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে পীর ও তার নারী মুরিদকে গলা কাটার আগে গুলি করা হয়েছিলে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

বোচাগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে গুলি ও পরে গলা কেটে তাদের হত্যা করা হয়। ধর্মীয় কোনো কারণে এটি হয়েছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি জানান, কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার রাত ১০ টার দিকে বোচাগঞ্জের কাদেরিয়া মোহাম্মদিয়া খানকা শরিফের পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও তার মুরিদ রূপালি বেগমকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ফরহাদ দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গা মহল্লার বাসিন্দা। তার বাড়ি উপজেলার ৪নং আটগাঁও ইউনিয়নের দৌলা গ্রামে। তার গৃহপরিচারিকা ও মুরিদ রূপালি একই গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে।

রিয়াজুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ঘটনার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। অন্ধকারে সুযোগ পেয়ে অজ্ঞাতনামারা তাদের হত্যা করে। রাত ১০টার দিকে এক মুরিদ খানকা শরিফের ভেতরে প্রবেশ করে পীর ও মুরিদের মরদেহ দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনা জানতে পেরে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ফরহাদ হোসেন দিনাজপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিএনপি থেকে দিনাজপুর পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করে হেরে যান। এ ছাড়া তিনি দিনাজপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতিও ছিলেন।

এই ঘটনার পর রাতেই দিনাজপুর পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই