পর্নো ম্যাগাজিনের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু পর্নো আসক্তের!
এই সময়টায় পর্নো কমবেশি কে না দেখে! ‘চটি’ বই তো অনেকের বাড়িতেই থাকে। কিন্তু সেই বই কারো মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে, তা কে জানত। না বই পড়তে গিয়ে উত্তেজনার বশে নয়, বাড়িতে থাকা পর্নো বইয়ের বিপুল কালেকশনের নীচে চাপা পড়ে জাপানে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কারণ ওই ব্যক্তির কাছে যে বিপুল সংখ্যক পর্নো বই ছিল, তা সম্মিলিত ওজন ৬ টন!
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পঞ্চাশ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির মৃত্যুর প্রায় ছ’মাস বাদে ফ্ল্যাটের মধ্যে থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় পর্নো বইয়ের নীচেই চাপা পড়েছিল তাঁর দেহ। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রায় ছ’মাস ধরে ফ্ল্যাটের ভাড়া না পেয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহের সন্ধান পান ফ্ল্যাটের মালিক। ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার করার জন্য যে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের ভাড়া করা হয়েছিল, তাঁদের একজনই গোটা ঘটনা বাইরে ফাঁস করে দিয়েছেন। প্রতিবেশীরা যাতে কিছু জানতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই ওই কর্মীদের ডেকে ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জোজি।
যিনি ওই ঘটনা ফাঁস করে দিয়েছেন, তাঁর দাবি, ঘরে রাখা বিপুল সংখ্যক পর্নো ম্যাগাজিনের নীচে ওই ব্যক্তির দেহ চাপা পড়েছিল। এমনও সন্দেহ করা হচ্ছে, হয়তো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই থরে থরে সাজানো পর্নো ম্যাগাজিনের মাঝে পড়ে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। আর তখনই ধাক্কা লেগে পর্নো ম্যাগাজিনের স্তূপ তাঁর উপরে পড়ে যায়। যার ফলে দম আটকে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। যে বিপুল পরিমাণ পর্নো ম্যাগাজিন ওই ব্যক্তির উপরে পড়েছিল, তাতে তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করে থাকলেও কেউ শুনতে পাননি বলেই মনে করা হচ্ছে।
ওই সাফাইকর্মীর আরো দাবি, ওই ব্যক্তির গোটা ফ্ল্যাট জুড়ে শুধু পর্ন ম্যাগাজিনই ছিল। ঘরের মেঝে, তাক, টেবিল— সবকিছুই পর্নো ম্যাগাজিনে ঠাসা ছিল। সূত্র: এবেলা।
মন্তব্য চালু নেই