১২ বছর বয়সেই মাওবাদী! তবু এই তরুণী আজ খ্যাতির শীর্ষে, কেন

খালি পায়ে, পিঠে বোঝা নিয়ে চলাফেরা করতে করতেই একদিন দিশা পান। চন্দ্রগিরি পাহাড়ে ‘ট্রেল’ প্র্যাকটিস করছিল এক পাল ছেলেমেয়ে।

‘মেয়ে হয়ে জন্মেছি, তাই প্রচুর বিধিনিষেধ মেনে চলতে হত’, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছেন এ বছরের ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক্স অ্যাডভেঞ্চারার অফ দ্য ইয়ার’।

মীরা রাই। নেপালের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম, ভোজপুরের বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৯ বছর। এক সময়ে জীবনযাপনের জন্য হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে চালের বস্তা পিঠে নিয়ে যেতেন বিক্রির জন্য।

বয়স তখন মাত্র ১২। স্কুলের ব্যাগ হারিয়ে গিয়েছিল পেটের জ্বালায়। ছোট্ট বয়সেই তাই আয়ের পথ ধরেন তিনি। তার পরে এক দিন যোগ দেন মাওবাদীদের সঙ্গে।

খালি পায়ে, পিঠে বোঝা নিয়ে চলাফেরা করতে করতেই একদিন দিশা পান। চন্দ্রগিরি পাহাড়ে ‘ট্রেল’ প্র্যাকটিস করছিল এক পাল ছেলেমেয়ে। তাদের দেখে মীরাও নাম লেখায় ‘হিমালয়ান আউটডোর আল্ট্রা-রান’ প্রতিযোগিতায়।

প্রথমবারেই সকলকে তাক লাগিয়ে প্রথম হন হিমালয়ের এই কন্যা। তখন তাঁর কাছে না ছিল ঠিক মতো কোনও পোশাক, না ছিল জুতো। খেলোয়াড়দের ‘ডায়েট’ বলতে যা বোঝায়, তাও ছিল না তাঁর।

এর পরে আর ফিরে দেখেননি মীরা রাই। এ যাবৎ প্রচুর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি এবং সফলও হয়েছেন। সেই সফলতার ফসলই ন্যাট জিও-র তরফ থেকে এই সম্মান।



মন্তব্য চালু নেই