জাতীয় লিগে এক ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি, হাঁকালেন যে ৩ টাইগার
জাতীয় লিগে নতুন কিছু। এ বছরের সেরা ঘটনাটাই ঘটেছে এখানে। পঞ্চম রাউন্ডের দুই ম্যাচে প্রথম দিনে ২৩ উইকেটের পতন দেখেন দর্শকরা। তবে দ্বিতীয় দিনে রান উৎসব করলেন ব্যাটসম্যানরা। দুই ম্যাচে সারাদিনে পতন হয় মাত্রই ৭ উইকেট। গতকাল দর্শকরা দেখতে পান তিনটি সেঞ্চুরি।
চারটিও হতে পারতো। গতকাল ব্যক্তিগত ৯৮ রানে উইকেট খোয়ান তাসামুল হক। এদিন সেঞ্চুরি হাঁকান নাঈম ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন। ব্যাট হাতে টানা দ্বিতীয় ও চলতি আসরে চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকালেন নাঈম ইসলাম।
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে গতকাল সেঞ্চুরি হাঁকান বিসিবি নর্থ জোনের অপর ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তও। এতে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে ৪২২/৬ সংগ্রহ নিয়ে মজবুত অবস্থায় নর্থ জোন। সিলেট মাঠে প্রথম দিনে ১৩ উইকেটের পতন দেখেন দর্শকরা।
তবে দ্বিতীয় দিনে দেখা যায় সাকুল্যে তিন উইকেটের পতন। আর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ মাঠে আগের দিন ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের বিপক্ষে ২৯৬ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন। জবাবে বিনা উইকেটে ৪ রান নিয়ে গতকাল দিনশেষে ইস্ট জোনের সংগ্রহ পৌঁছে ২৯০/৪-এ।
২৩৮ বলের ইনিংসে ১৩৮ রান করেন ইস্ট জোনের ১৭ বছর বয়সী ওপেনার আফিফ হোসেন। আসরে এটি আফিফের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তৃতীয় রাউন্ডে অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। চলতি আসরে একাধিক সেঞ্চুরির কৃতিত্বটা কেবল আফিফ ও নাঈম ইসলামের।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে নর্থ জোন এগিয়ে যায় ২৪১ রানে। আগের দিনের ৬৩/৩ সংগ্রহ নিয়ে গতকাল দলীয় ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় নর্থ জোন।
ব্যক্তিগত ৪১ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জুনাইদ সিদ্দিকী। তবে পঞ্চম উইকেটে ১৯৭ রানের জুটি গড়েন নাঈম ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। নিজের উইকেট দেয়ার আগে শান্ত করেন ১২৩ রান। আর নাঈম ইসলাম দিনশেষে অপরাজিত থাকেন ১৩৩ রানে।
২৭৫ বলের ইনিংসে নাঈম হাঁকান ১৯টি চার ও একটি ছক্কা। আর ১৪২ বলের সাবলীল ইনিংসে শান্ত হাঁকান ১৮টি বাউন্ডারি। শাহাদাত হোসেন ও শরিফুল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষ অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে।
তবে রান পাননি জাতীয় ক্রিকেট লীগে ডাবল সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখানো তারকা খেলোয়াড় নাসির হোসেন। গতকাল ৭ নম্বরে ব্যাট হাতে ৮ রানে উইকেট খোয়ান নাসির। আগের দিন নর্থ জোনের বাঁ-হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের ৫ উইকেট শিকারে ১৮১ রানে গুঁড়িয়ে যায় সেন্ট্রাল জোনের প্রথম ইনিংস।
চট্টগ্রামে সাউথ জোনের ২৯৬ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে দলীয় ২১ রানে উইকেট খোয়ান ইস্ট জোন ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ২২২ রানের জুটি গড়েন আফিফ ও তাসামুল হক।
চার দলের আসরে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে বিসিবি নর্থ জোন। সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন। ৯ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের অবস্থান তৃতীয়। সমান পয়েন্টের ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন রয়েছে তালিকার তলানিতে।
মন্তব্য চালু নেই