চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবারো অচলের হুমকি ছাত্রলীগের
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী রবিবার থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির হুমকি দিয়েছে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)।বুধবার দুপুরে নগরীর প্রেস ক্লাব সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগ কর্মী ও ভিএক্স সদস্য মোহাইমিনুল হক ফয়সাল।তিনি বলেন,নিহত তাপস সরকারের কান্নাবহ লাশ নিয়ে যে অপরাজনীতি ও কুৎসা রটানো হয়েছে তা আমাদেরকে আরো অধিকতর লজ্জিত করে এবং এর ফলে তাপসের মূল হত্যাকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা তাপস সরকারের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। প্রয়োজনে গোয়েন্দা বিভাগ এ ঘটনার দায়িত্ব নিতে পারে। তাপস সরকারের হত্যাকারী,সে হিংস্র নরপশু কে বা কারা প্রশ্ন রইল আপনাদের কাছে? বুধবার দুপুরে নগরীর প্রেস ক্লাব সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ভিএক্স গ্রুপের লিখিত দাবিগুলো হল – সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে নিহত ছাত্রলীগ সমর্থক তাপস সরকারের মূল হত্যাকারীদের বিচার, ঘটনার সময়ে কর্তব্যে অবহেলার কারণে হাটহাজারী থানার ওসি মো.ইসমাইলের অপসারণ, তাপস হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রাকিব,অমিত ও সুমন মামুন গংকে গ্রেফতার, ছাত্রলীগ কর্মীদের হলে অবস্থান ও এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ইতোপূর্বে আটক নিরাপরাধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মুক্তি, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা অস্ত্র ও হত্যা মামলা প্রত্যাহার।আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে এ দাবিগুলো পুরণ না করা হলে লাগাতার অবরোধকর্মসূচি পালন করবেন বলে হুমকি দেন তারা।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন তাপস। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।তাপস বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ চ্যুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের সদস্য ছিলেন।এর আগে সকালে বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভিএক্স’এবং ‘সিএফসি’ কর্মীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে উষ্কানী মূলক আচরণ করে। আচরণের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরুতে দু’পক্ষই একে অপরকে ইটপাটকেল নিক্ষেপে সীমাবদ্ধ থাকলেও,পরে তারা রামদা, ককটেল, পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ‘ভিএক্স’ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল হলে এবং ‘সিএফসি’ কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়।সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ভিএক্স কর্মীদের ছোড়া গুলিতে ‘সিএফসি’র কর্মী তাপস সরকার নিহত হয়।
মন্তব্য চালু নেই