শহরে এসে ধোনির এই চা বিক্রেতা বন্ধু যা করলেন, তাতে চোখে জল আসবেই

কলকাতায় ধোনির ‘ডাউন দ্য মেমরি লেন’ পর্ব চলছে। বিজয় হাজারেতে ঝাড়খণ্ড দলের হয়ে খেলতে এসেছেন ট্রেনে চেপে। যে রেলওয়ের একজন কর্মী ছিলেন তিনি, সেই রেলে চেপেই নস্ট্যালজিয়ার সরণিতে হেঁটেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম আইকন।

প্রথম ম্যাচে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হলেও নিজস্ব ট্রেডমার্ক ছন্দে ফিরেছেন ছত্রিশগড়ের বিরুদ্ধে। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ক্রিকেটের নন্দনকাননে শ্বশুড়বাড়ির শহরের মন জিতেছেন। ধোনির খেলা দেখতে খড়গপুর থেকে কলকাতায় এসেছিলেন এগারো জন পুরনো বন্ধু।

রবিবার ইডেনের গ্যালারিতে বসেই মাহি-ঝড় প্রত্যক্ষ করেছেন ধোনির বন্ধুদের ‘একাদশ’। ধোনির প্রাক্তন রঞ্জি দলের সতীর্থ সত্যপ্রকাশ কৃষ্ণ, খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার, রবিন কুমার, আনন্দ কুমার, রামু কুমার, টমাস, অনিকেত— শহরে এসেছেন।
যখন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের টিকিট পরীক্ষক ছিলেন ‘সাধারণ’ ধোনি, তখন থেকেই প্রত্যেকের সঙ্গে টিকিট কালেক্টর-বাবুর ‘পহেচান’। সাফল্যের শৃঙ্গে ওঠার পরেও অবশ্য কাউকে ভোলেননি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।

রবিবার বাইশগজে ঝড় তোলার পরেই বেরিয়ে আসছিলেন ধোনি। তখনই খড়গপুরের চা-বিক্রেতা বন্ধু টমাসের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় এমএসের। সঙ্গে সঙ্গেই টমাসকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। নিজের পুরনো বন্ধুদের দেখে আপ্লুত ধোনি তখনই ড্রেসিংরুমে নিয়ে যান তাঁদের। পরে সিদ্ধান্ত নেন টিম হোটেলে তিনি প্রত্যেক বন্ধুদের জন্য গ্র্যান্ড ডিনারের আয়োজন করবেন।

ধোনি টিম-বাসে করে প্রস্থানের পরে নস্ট্যালজিয়ায় ভাসতে ভাসতে টমাস বলছিলেন স্পেশ্যাল দোস্তির গল্প! ‘ধোনি যখন খড়গপুরের টিকিট পরীক্ষক ছিলেন, তখন আমার চায়ের দোকানে দিনে দু থেকে তিনবার আসতেন। চায়ের খুব বড় ভক্ত ছিলেন মাহিভাই। চায়ের পাশাপাশি মাঝেমাঝে গরম একগ্লাস দুধও খেতেন তিনি।’ আনমনা টমাস বলতে থাকেন।

সেই ধোনি আজও তাঁকে মনে রেখেছেন, এটা দেখেই উৎফুল্ল হয়ে পড়েছেন তিনি। পাশাপাশি জাতীয় দলের অধিনায়কত্বে আর দেখা যাবে না তাঁর বন্ধুকে এটা ভেবেও খানিকটা মন খারপও টমাসের। তবে তিনি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তা হল খড়গপুরে পৌঁছে নিজের চায়ের দোকানের নতুন নাম রাখবেন, ‘ধোনি টি স্টল’। বন্ধুকে সামান্য শ্রদ্ধার্ঘ্য তাঁর।



মন্তব্য চালু নেই