ঢাকাকে ভুলে থাকা যায় না : ইংল্যান্ডের জাফর আনসারি

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের ম্যাচে জাফর আনসারির অভিষেক। বল হাতে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেট পেলেও ব্যাট হাতে ছিলেন একদমই অসফল। প্রথম ইনিংসে ১৩ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হতে হয়েছিল তাকে। বাংলাদেশি স্পিনারদের মোকাবেলা করতে বেশ কাঠগড় পোহাতে হয়েছে জাফরসহ পুরো ইংল্যান্ড দলকেই। কিন্তু বাংলাদেশের দর্শকদের অন্যরকমভাবে মনে ধরেছিল তার। অভিষেক ম্যাচেই এমন এক পরিবেশ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত জাফর আনসারি।
‘দ্য ক্রিকেটার’ নামক ইংলিশ ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিষেক টেস্টের কথা বলতে গিয়েই শুরুতে বাংলাদেশের স্টেডিয়ামের প্রশংসা করেন জাফর আনসারি। ‘এটা আসলেই অসাধারণ এক মুহূর্ত ছিল। ঢাকার স্টেডিয়াম এক কথায় অসাধারণ। ঢাকাকে ভুলে থাকা যায় না। ঢাকার দর্শক পৃথিবীর যেকোন জায়গার থেকে সেরা মুম্বাই স্টেডিয়াম থেকে। বাংলাদেশের দর্শকেরা তাদের দলের প্রতি আবেগপ্রবণ অনেক। তারা কতটা উদ্যমের সঙ্গে দলকে সমর্থন দেয় সেটা আপনি টিভিতে দেখলে বুঝতে পারবেন না। এই অনুভূতিটা আমি কখনো ভুলতে পারবো না। ওখানে আপনাকে মনে হবে আপনি একটা বড় পাত্রের ভেতর অবস্থান করছেন। আমাদের থেকে ওখানকার পরিস্থিতি অনেক অনেক ভিন্ন। এখানে এটাও একটা বিষয় যে স্পিন বোলিংয়ের ওপর অনেক জোর দেওয়া হয়। মানে আপনি এখানে কঠোর নজরদারিতে থাকছেন। কিন্তু যখন আমি প্রথম টেস্ট খেলতে নামি ব্যাপারটা আসলেই রোমাঞ্চকর ছিল আমার জন্য। ’
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ হারার পরই ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। সেখানেও দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পান জাফর। সেখানে তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে অশ্বিন এবং জাদেজার মত অভিজ্ঞ স্পিনারদের। অন্যদিকে ঢাকায় তাকে মেহেদী মিরাজের মত উদীয়মান ক্ষুরধার স্পিনারকে মোকাবেলা করতেছিল ইংলিশদের যে কিনা দুই টেস্টে নিয়েছিল ১৯ উইকেট।
অশ্বিন, জাদেজা এবং মিরাজের মধ্যে পার্থক্য কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে আনসারি বলেন, ‘বাংলাদেশি স্পিনার এবং ভারতীয় স্পিনারদের ভেতর তেমন বেশি পার্থক্য নেই। এটা আসলে কষ্টকর তবে আমার দিক থেকে দেখলে আমার জন্য এটি খুব ভালো অভিজ্ঞতা ছিল তাদেরকে মোকাবেলা করাটা। তবে অভিজ্ঞ কাউকে মোকাবেলা করা একটু বেশি কাজে দিবে আমার জন্য। এটা আপনাকে বুঝাবে কোথায় কার বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়।’-বিডি ক্রিকটিম

































মন্তব্য চালু নেই