ঋতু পরিবর্তনেও সুস্থ থাকতে কী খাবেন?

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত যাদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারা প্রায়ই এ সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ধরনের অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে কিছু খাবারের কথা তুলে ধরা হলো এ লেখায়।

১. আনারস
আনারসে রয়েছে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা প্রতিরোধের উপাদান। আনারসের একটি উপাদানের নাম ব্রোমেলেইন। এটি কাশি দূর করার ওষুধেও ব্যবহৃত হয়। আনারসের এ উপাদানটি ফুসফুসের সুস্থতার জন্যও কাজ করে। ঋতু পরিবর্তনের সময় আনারস বেশি করে খেলে তাই নানা অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়।

২. আদা ও মধু
আয়ুর্বেদিক ও চীনা ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় আদা নানা রোগের উপশমে ব্যবহৃত হয়। এটি ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হওয়া উপশম করে। এছাড়া মধুরও রয়েছে দারুণ সব উপকারিতা। এছাড়া আদার উপকারিতা পূর্ণ করার জন্য এটি কার্যকর। ঋতু পরিবর্তনের সময় হালকা গরম পানিতে মধু ও আদা মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে উপকার পাবেন।

৩. গ্রিন টি
গ্রিন টি দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঋতু পরিবর্তনের সময় নিয়মিত গ্রিন টি সেবনে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং নানা ধরনের রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে।

৪. রসুন
রসুনের নানা উপকারিতা রয়েছে। বিশেষত দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এটি কার্যকর। এটি দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এবং দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। বয়স্ক ও শিশুদের জন্যও এটি কার্যকর। তবে একেবারে দুগ্ধপোষ্য শিশুদের এটি দেওয়া উচিত নয়।

৫. ইউক্যালিপটাস তেল
শ্বাসকষ্ট ও এ ধরনের ক্রনিক রোগের চিকিৎসায় ইউক্যালিপটাসের তেল ব্যবহৃত হয়। এটি সব বয়সের মানুষের জন্যই উপযোগী। আর ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এটি ভূমিকা রাখে।

৬. তাজা খাবার
শিল্প-কারখানায় প্রক্রিয়াজাত খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখতে ও স্বাদ বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। আর এসব উপদান আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তার বদলে তাজা শাক-সবজি, ফলমূল ও অন্যান্য খাবার খেতে হবে।

–হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব



মন্তব্য চালু নেই