রাবিতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের আশেপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশা এমন আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হুসাইন আলী বলেন, ‘আমাদের হলের পাশের ফাঁকা জায়গাগুলো পরিষ্কার না করায় তা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এদিকে হলের ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে সহজেই মশা খুব দ্রুত বংশবিস্তার করেছে। এজন্য রাতে মশার জন্য রুমে থাকা কঠিন হয়ে যায়। দিনের বেলাও মশারি টাঙ্গিয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে করে পড়ালেখা করতে পারছি না।’
বেগম রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমাদের হলের উত্তর দিকের ড্রেনের পানি দীর্ঘদিন ধরে জমা হয়ে আছে। এতে প্রতিদিন হাজারো মশার জন্ম হচ্ছে। এছাড়াও হলের ভেতরে বিভিন্ন জায়গা অপরিচ্ছন্ন থাকায় মশার পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। মশার যন্ত্রণায় পড়ালেখা তো বটেই কোন কাজই করতে পারছি না। তাই আমাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব শিগগিরই সমস্যা সমাধানে মশা নিধন স্প্রে ব্যবহার করুক। ’
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের পাশে, একাডেমিক ভবনগুলোর ধারে, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাসমান খাবার দোকানগুলোর পাশে ও স্টেডিয়াম এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। দীর্ঘ দিন ধরে এগুলো পরিস্কার না করায় সেগুলো যেন মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিনিত হয়েছে। তাছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গার ঝোপ-ঝাড়গুলোও দীর্ঘ দিন ধরে পরিস্কার করা হয় না। ফলে জুবেরী মাঠ, শহীদ মিনার, টুকিটাকি ও ইবলিশ চত্বর, সাবাস বাংলাদেশ, পশ্চিম পাড়াসহ আবাসিক হলগুলোতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উপদ্রব। মশার কারণে সন্ধ্যা হলেই ক্যাম্পাসে থাকা দায় শিক্ষার্থীদের। আবাসিক হলগুলোর অবস্থা যেন আরো ভয়াবহ। মশার কামড়ে শিক্ষার্থীরা ভুগছেন নানাবিধ রোগে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলছেন, আমরা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা অতি দ্রুত মশা নিধন স্প্রে প্রয়োগ করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
মন্তব্য চালু নেই