গরুর মাংসের দাম এক লাফে ৭৫ টাকা বাড়ালো স্বপ্ন
মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের সুযোগে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা লুটছে `স্বপ্ন সুপার সপ`। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ৭৫ টাকা। সপ্তাহ দুয়েক আগে অফার চলার সময় গরুর মাংসের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪১৫ টাকা।
শুক্রবার স্বপ্নতে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৪৯০ টাকা দরে। এছাড়া গত দুইদিন আগে কেজিতে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করে ৪৪৫ টাকায় বিক্রি করা হয়।তবে নিয়মিত ৪৩০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, মাংস সংকটের কারণেই দাম বাড়ানো হয়েছে। সংকট কাটলে আবার আগের দামে বিক্রি হবে।
শুক্রবার স্বপ্ন’র মিরপুর পল্লবী শাখায় দেখা যায়, বেলা ১২টার আগেই গরুর মাংস বিক্রি শেষ করেছে তারা। আছে শুধু মাথা। সাইনবোর্ডে দাম লেখা রয়েছে ‘ বিফ- ৪৯০ টাকা।’ তবুও চাহিদার শেষ নেই। স্বপ্নের এই আউটলেটের ইনচার্জ রব উদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে টোটালি কোন বিফ নেই। একমাত্র আমরাই বিক্রি করছি। চাহিদা বেশি তাই দাম বাড়িয়েছি।
এক লাফে এতো বেশি বাড়ানো যৌক্তিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গরু জবাই দিতে পারছি না। নানাদিক থেকে চাপ আছে। বিশেষ করে যারা ধর্মঘট ডেকেছেন। এজন্য রিস্ক নিয়েও মাংস বিক্রি করছি।
কিন্তু আগে বলা হতো স্বপ্ন তার নিজস্ব ফার্ম থেকে বেশিরভাগ পণ্য নিয়ে আসে। স্বপ্ন’র নিজস্ব গরুর খামার রয়েছে বলেও প্রচার করা হতো। তাহলে রাজধানীতে এ সংকটে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ বিষয়ে রব বলেন, খামার থেকে আসে ঠিক আছে। কিন্তু কিছু বাজার থেকেও সংগ্রহ করা হয়।
এসিআই লজিস্টিক লি. ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ‘কষ্টের টাকায় শ্রেষ্ঠ বাজার’ স্লোগান নিয়ে স্বপ্ন সুপার শপ ব্যবসা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার এক বছরেই নানা অনিয়ম ও ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। স্বপ্ন সুপার শপটি তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে চলছে। কোন বাধাই যেন তাদের দমাতে পারছে না। কিছুদিন পরপরই তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের নানা অভিযোগ ওঠে এবং তা প্রমাণিতও হয়। শুরুতে একটি মাত্র শাখা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এ সুপার শপটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় শাখা খুলেছে। এরমধ্যে ঢাকাতেই সর্বাধিক প্রায় ৫০টি শাখা রয়েছে।
অভিযোগ আছে, ভোক্তা প্রতারণার শীর্ষে রয়েছে স্বপ্ন।ফরমালিনযুক্ত মাছ এবং বিদেশি নামে দেশের তৈরি অনুমোদনহীন স্ট্যান্ডার্ড মার্ক (বিএসটিআই সিল) ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করে থাকে তারা। আর এ অপরাধে স্বপ্নের বেশ কয়েকবার জরিমানাও করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মন্তব্য চালু নেই