সৌম্যকে হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করলো বাংলাদেশ

হায়দরাবাদ টেস্টে ভারত ইনিংস ঘোষণার পর খেলা হলো মাত্র ১৪ ওভার। এই সময়টুকু ধৈর্য্য ধরে উইকেটে থাকতে পারলেন না বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। উমেশ যাদবের বলে উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ধরা পড়লেন ওপেনার সৌম্য সরকার। শেষ পর্যন্ত দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান। তামিম ২৪ এবং মমিনুল ১ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে দুই সেঞ্চুরি এবং এক ডাবল সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৬৮৭ রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভালোই খেলছিলেন তামিম আর সৌম্য। দুজনের খেলা দেখে একটা সময় বেশ সাবলীল মনে হচ্ছিল, দিনটা হয়তো পার করে দিতে পারবেন দুজন। কিন্তু বাদ সাধল ভাগ্য। সৌম্যর আউটটা খালি চোখে বোঝা সম্ভব ছিল না। আম্পায়ারও আবেদনে সাড়া দেননি। কিন্তু কোহলি সম্প্রতি সাবেক অধিনায়ক ধোনির ডিআরএস শিষ্য হয়ে উঠছেন। তিনি দুম করে রিভিউ চেয়ে বসলেন। প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা গেল, যাদবের বলটি সৌম্যর ব্যাটে সামান্য স্পর্শ করেছে। এরপর আউট না দিয়ে উপায় ছিল না। ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৫ রান করেন সৌম্য। তার বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গী হন মমিনুল হক।

হায়দরাবাদ টেস্টের প্রথম দিনেই জোড়া সেঞ্চুরি পায় ভারত। সেঞ্চুরি করেন মুরালি বিজয় আর বিরাট কোহলি। মুরালি বিজয় আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় দিনে ঠিকই ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান বিরাট কোহলি। তাইজুলের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ২০৪ রান। এর মধ্যেই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহার একটি সহজ স্ট্যাম্পিং মিস করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক কাম উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এর মূল্যটাও দিতে হয় বড় মাপের। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসেন ঋদ্ধিমান। রবিন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ৭ম উইকেটে তিনি অপরাজিত ১১৮ রানের জুটি গড়েন। তামিম ক্যাচ ছাড়লে জীবন পান জাদেজা। তিনিও হাফ সেঞ্চুরি তুলে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন।



মন্তব্য চালু নেই