রাজনীতির আড়াই প্যাঁচ মুক্ত হতে পারছি না : এরশাদ

একসময়ের দোর্দণ্ড ক্ষমতার অধিকারী রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, তিনি শৃঙ্খলমুক্ত রাজনীতি করতে পারছেন না। ৯০ সাল থেকে তিনি আইনের শৃঙ্খল, জেলখানা আর রাজনীতির আড়াই প্যাঁচে শৃঙ্খলযুক্ত রয়েছেন বলে মনে করেন। অর্থাৎ ২৪ বছর ধরে তিনি স্বাভাবিক রাজনীতি করতে পারছেন না।

রোববার সকালে গুলশান-১-এ স্পেকট্রাম কনভেনশন হলে জাতীয় পার্টির যৌথ সভা শুরুর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এই হতাশা ব্যক্ত করেন। এরশাদ বলেন, ৯০-এ ক্ষমতা ছাড়ার পর এখন পর্যন্ত তিনি শৃঙ্খলমুক্ত থেকে রাজনীতি করতে পারেননি। তার পরও নানা প্রতিকূলতা আর চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বেঁচে আছেন, তাতেই হাজার শুকরিয়া জানিয়েছেন সৃষ্টিকর্তাকে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। প্রয়োজনে নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়। দলের সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অতি সম্প্রতি জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে জিয়াউদ্দিন বাবলুকে অধিষ্ঠিত করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দীর্ঘদিনের অনুগত মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে অব্যাহতি দেওয়ায় পার্টি আবার ভাঙছে বলে গুজব ছড়িয়েছিল। তবে তা হয়নি। বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের প্রিয়ভাজন জিয়াউদ্দিন বাবলুকে মহাসচিব করায় পার্টি আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন পার্টির নেতারা।

দশম সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় যাওয়ার পর এটাই জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে প্রথম যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ প্রেসিডিয়াম সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

বেলা ১১টায় এই যৌথ সভা শুরু হয়। তার আগে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এই বক্তব্যে দলটিতে ভাঙন রোধের একটা ইঙ্গিত ছিল। এ ছাড়া, পার্টির নীতিনির্ধারণী  ক্ষমতায় কে থাকছেন, এরশাদ না রওশন- সে ইস্যুরও সমাধান হবে বলে ধারণা করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।



মন্তব্য চালু নেই