যে গ্রামে মুসলিমদের প্রবেশ মানা

হাঙ্গেরির এ্যাজোথালোম নামের প্রত্যন্ত এক গ্রামে ‘মুসলিম পোশাক’ পরা, আজান দেয়া, এবং সমকামীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ‘সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ’ এবং ‘মুসলিম সংস্কৃতির’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে। খবর বিবিসির।

ওই গ্রামের মেয়র লাৎসলো টোরোৎস্কাই বলেছেন, তারা চান, পশ্চিম ইউরোপ থেকে খ্রিস্টান এবং মাল্টিকালচারালিজম-বিরোধীরা এখানে এসে বসতি স্থাপন করুক।

গ্রামটিতে স্থানীয় আইন করে হিজাব, আজান ও সমকামীদের প্রকাশ্যে আদর-সোহাগ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মসজিদ নির্মাণ নিষিদ্ধ করার জন্য আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। স্থানীয়দের অনেকেই এই আইনে সমর্থন জানালেও একাধিক আইনজীবী বলেছেন, এসব আইন হাঙ্গেরির সংবিধানের বিরোধী। এ ব্যাপারে সরকার ফেব্রুয়ারি মাসেই তাদের চুড়ান্ত মত জানাবে।

গ্রামটিতে মাত্র দু’জন মুসলিম বাস করেন। তারা মনোযোগ আকৃষ্ট করার ভয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চান না। তাদের কথা, তারা নিকাব পরেন না এবং গ্রামের অন্য লোকদের সাথে তারা মিলেমিশে আছেন।

রাজধানী বুদাপেস্ট থেকে গ্রামটি দু’ঘন্টার পথ। এখান থেকে হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্ত খুব কাছে। ইউরোপে অভিবাসী সংকটের সময় ওই সীমান্ত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অন্তত ১০ হাজার লোক ইউরোপে ঢুকেছে। সীমান্তের পথে দেখা হাজার হাজার অভিবাসীর কাফেলা এই গ্রামের লোকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে, অভিবাসী-বিরোধী মানসিকতা তীব্র করেছে। তাই গ্রামের লোকেরা এখন পালা করে সীমান্তে ২৪ ঘন্টা পাহারা বসিয়েছেন।

মেয়র লাৎসলো টোরোৎস্কাই বলছেন তারা চান গ্রামের ঐতিহ্য বজায় রাখতে – যা মুসলিমরা এখানে এসে বসতি স্থাপন করলে হবে না। “আমরা দেখেছি পশ্চিম ইউরোপে বড় বড় মুসলিম কমিউনিটি আছে যারা খ্রিস্টান সমাজের সাথে যুক্ত হতে পারেনি। এখানে তা হোক তা আমরা চাই না।



মন্তব্য চালু নেই