সোহম পারেননি, বনিও পারলেন না

সোহম বাংলা ছবির জগতে বনির থেকে বেশ অনেকটাই সিনিয়র। তিনি যখন পারেননি তখন বনি-ই বা কী করে পারবেন। তবে এই না পারার মধ্যেও একটা মিষ্টি ব্যাপার আছে।

বাণিজ্যিক বাংলা ছবির দৃশ্যভাবনায় খুব একটা রকমফের দেখা যায় না। নাচের দৃশ্যের কোরিওগ্রাফিও বহু সময় এক রকম হয়। খালি স্টেপস খানিকটা আলাদা হতে পারে। ২০১০ সালের ছবি ‘অমানুষ’ নায়ক নায়িকাকে নিয়ে ঠিক যেটি করতে গিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে ‘তোমাকে চাই’-তেও ঠিক সেই চেষ্টাই হয়েছে। চেষ্টাটা বিশেষ কিছু না, নায়িকাকে পিঠে নিয়ে নায়কের কসরৎ।

২০১০ সালে সোহম এই কসরৎ করতে গিয়েছিলেন শ্রাবন্তীকে পিঠে নিয়ে। তখন অবশ্য শ্রাবন্তী এখনকার তুলনায় আরও একটু স্লিম ছিলেন আর সোহম তো বরাবরই স্বাস্থ্যবান। কিন্তু তিনি পারেননি। হার মানতে হয়েছে। সেটা কতটা নায়িকার ওজনের কারণে আর কতটা পরিচালকের দৃশ্যায়ন-ভাবনার জন্য, তা অবশ্য বলা বেশ মুশকিল।

কথায় বলে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। ২০১৭ সালের সেই একই দৃশ্য-ভাবনা দেখা গেল আসন্ন ছবি ‘তোমাকে চাই’-এর ‘রঙিন’ গানের সিকোয়েন্সে। এখানে বনির পিঠে চড়লেন কৌশানী এবং সোহমের মতো এখানেও হার মানতে হল বনিকে। আসলে দু’টি ছবির পরিচালকই যে রাজীব, যিনি ২০১০ সালে ‘বিশ্বাস’ থাকলেও ২০১৭-তে হয়েছেন ‘কুমার’।

হঠাৎ এই নাম পরিবর্তনের কারণটা যাই হোক না কেন, মানুষটা তো আর পাল্টে যায়নি। হয়তো নস্টালজিয়াবশত ওল্ড ওয়াইন ইন নিউ বটল ঘটিয়েছেন। তাতে কিছু দোষ নেই অবশ্য, দর্শকের মনোরঞ্জন হলেই হল! কিন্তু নায়িকাকে নিয়ে কসরৎটা কে বেশি ভাল করেছেন? সোহম না বনি? বিচার করতে আর একবার দেখে নিতেই পারেন গান দু’টি।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই