অস্ত্র হাতে ফেসবুক লাইভে যুবলীগ নেতা (দেখুন ভিডিওসহ)

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম ছানার শর্টগানের ফায়ারিংয়ে বিয়ের আনন্দ উদযাপনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এবার ফেসবুকে ভাইরাল হলো উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাফির ভিডিও।

সোমবার রাত ১২টার দিকে শাফি তার সমর্থকদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে খোকসা বাজারে স্থানীয় এমপি ও যুবলীগ নেতাকে মারধর করার জন্য অবস্থান নিয়েছে বলে ফেসবুক লাইভে ভিডিও প্রচার করেন।

তার ফেসবুকে আপলোড ভিডিওতে দেখা যায়, এই যুবলীগ নেতা রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন আর লাইভে কথা বলছেন। এ সময় যুবলীগ কর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

এ সময় দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে তিনি বলছেন, এমপি (স্থানীয় এমপি আব্দুর রউফ) ও কানাকে (যুবলীগের আহ্বায়ক আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত) খোঁজা হচ্ছে। তাদের না পেয়ে রাস্তায় অবস্থান করছি।

এদিকে, এমন ভিডিওবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। শাফির নিজ ফেসবুকে ভিডিও বার্তার নিচে বেশ কয়েকজনকে কমেন্টস করতে দেখা গেছে।

সেখানে সেলিম রেজা নামের শাফির এক বন্ধু লিখেছেন, ‘কানা ….. (প্রকাশের অযোগ্য) বাচ্চাকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে।’

পাশাপাশি আরজে জায়েদ নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘এগিয়ে যান আমরা আছি আপনার সাথে।’

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

সম্প্রতি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা যুবলীগের ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ।

গত ৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে আল মাসুম মোর্শেদ শান্তকে আহ্বায়ক এবং আব্দুল মান্নান ও বাপ্পী বিশ্বাস রাজুকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট খোকসা উপজেলা যুবলীগের অনুমোদন দেন।

আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদনপত্র গত সোমবার নেতৃবৃন্দের হাতে তুলে দেয়ার সময় স্থানীয় এমপি আব্দুর রউফ উপস্থিত ছিলেন।

এ কমিটিতে বাদ পড়েন নেতা শাফি ও তার অনুসারীরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাফি ও তার অনুসারীরা অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে এমপি ও নতুন কমিটির নেতাদের খুঁজতে থাকেন।

সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম ছানা তার ভাতিজির বিয়ের আনন্দ উদযাপন করে শর্টগানের ফায়ারিংয়ে। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশ জুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে আসলো এ নেতার ভিডিও।

https://youtu.be/RLp3_yrJ52o



মন্তব্য চালু নেই