ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ, ক্ষমা না চেয়ে কী করল ব্যর্থ ‘প্রেমিক’?

ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। সালিশি সভা ডেকে ওই যুবককে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন গ্রামের প্রধানরা। ক্ষমা চাওয়ার বদলে সালিশি সভা ডাকার অপরাধে গ্রামেরই এক বাসিন্দাকে খুন করে বসল অভিযুক্ত যুবক এবং তার বন্ধুরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের ঘোষপাড়া এলাকায়।

বিষ্ণুপুরের ঘোষপাড়ার স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রাহুল ঘোষ নামে এলাকারই এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করছিল। বিরক্ত হয়ে নিজের পরিবারে ঘটনার কথা জানায় ওই ছাত্রী। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে রাহুলের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। তার পরেও ছাত্রীকে নিয়মিত বিরক্ত করত ওই যুবক। তিন দিন আগে গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র মাঝিকে গোটা ঘটনাটি কথা জানায় মেয়েটির পরিবার। অতীতে সালিশি সভা ডেকে গ্রামেরই বেশ কিছু সমস্যার মীমাংসা করেছেন ওই ব্যক্তি। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রামেই সালিশি সভা ডাকেন তিনি। সভায় রাহুলকে ডেকে পাঠানো হয়। ছাত্রীকে উত্যক্ত করার জন্য ওই যুবককে ক্ষমা চাওয়ার

নির্দেশ দেন পূর্ণবাবু। সালিশি সভায় অভিযুক্ত যুবককে মেয়েটির পাড়ার কয়েকজন যুবক মারধরও করে। এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রাহুল। সালিশি সভার শেষে পূর্ণবাবু বাড়ি ফেরার সময়ে চার বন্ধুকে নিয়ে ওই প্রৌঢ়ের উপরে হামলা চালায় সে। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই প্রৌঢ়কে একাধিকবার কোপায় অভিযুক্ত যুবকরা। এর পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় অভিযুক্তরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহত পূর্ণবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাতেই বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।

ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলের চার বন্ধুকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। যদিও, মূল অভিযুক্ত রাহুল ঘোষ পলাতক। রাহুলের আটক বন্ধুদের জেরা করে তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই