হেরে গেলো পাকিস্তান, সাতেই রইলো বাংলাদেশ
পার্থে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ঠেলে সাতে উঠে আসতো পাকিস্তান; কিন্তু আজহার আলির পরিবর্তে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ হাফিজ ম্যাজিক আর বেশি দেখাতে পারেননি। নিজে যেমন ব্যাট হাতে ব্যর্থ, তেমনি ব্যর্থ হলো তার দল পাকিস্তানও। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৬৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল মোহাম্মদ হাফিজের দল। জবাবে স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরিতে ৪৫ ওভারেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ২৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার আর উসমান খাজা সূচনাটা ভালো করে দিয়ে যান। দুজন মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। তবে ৩৮ বলে ৩৫ রান করে এ সময় ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার। এক রান পর ব্যক্তিগত মোহাম্মদ আমিরের বলে মাত্র ৯ রান করে আউট হন উসমান খাজা।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে যখন বিপদে অস্ট্রেলিয়া, তখন তাদের উদ্ধার করতে দাঁড়িয়ে গেলেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ আর অভিষিক্ত পিটার হ্যান্ডসকব। এ দুজনের ১৮৩ রানের বিশাল জুটি কেবল পাকিস্তানিদের দীর্ঘশ্বাসই বাড়লো।
যদিও হ্যান্ডসকব দু’দুবার আউট হয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। প্রথমবার শূন্য রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি জুনায়েদ খানের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে; কিন্তু মাঠ থেকে প্রায় বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে ডেকে আনা হলো তাকে। কারণ, জুনায়েদ বলটি করার সময় তার পা বেরিয়ে গিয়েছিল ক্রিজ ছেড়ে।
এরপর ৪ রানের মাথায় আবারও ক্যাচ দিয়েছিলেন হ্যান্ডসকব। সেটাও জুনায়েদ খানের বলেই। কিন্তু তার সহজ ক্যাচটা হাত ফসকে বের হয়ে গেলো মোহাম্মদ নওয়াজের। সুতরাং, কপাল পুড়লো জুনায়েদ খান এবং পাকিস্তানের।
শেষ পর্যন্ত সেই পিটার হ্যান্ডসকব ৮৪ বলে আউট হলেন ৮২ রান করে। তিনি সেঞ্চুরি করতে না পারলেও স্টিভেন স্মিথ ঠিকই অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১০৪ বলে শেষ পর্যন্ত ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিভেন স্মিথ। তার সঙ্গে ট্রাভিস হেড অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই ৪৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
এই পরাজয়ের ফলে র্যাংকিংয়ে সাতে উঠে আসার যে হাতছানি ছিল পাকিস্তানের সামনে, সেটা আর সম্ভব হলো না। কারণ, ৯০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের পেছনেই থাকতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তবে সিরিজের আরও দুটি ম্যাচ বাকি। এই দুই ম্যাচের একটিতেও যদি জিতে যায় পাকিস্তান, তাহলে র্যাংকিংয়ে ওলট-পালট হয়ে যেতে পারে। সাতে চলে আসতে পারে পাকিস্তানই।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিযে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। শারজিল খান ৫০ এবং বাবর আজম করেন ৮৪ রান। ৩৯ রান করে সংগ্রহ করেন শোয়েব মালিক এবং উমর আকমল। অস্ট্রেলিয়ার হ্যাজলউড ৩টি, ট্রাভিস হেড নেন ২ উইকেট।
মন্তব্য চালু নেই