একহাতে ফুচকা অন্যহাতে শার্ট বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন এই যুবক
হাতিবাগানের রাজেশ দাস। ফুচকাওয়ালা ওরফে শার্টওয়ালা! ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বড়বাজার অঞ্চলে বড়তলা স্ট্রিটে গেলেই দেখা মিলবে তাঁর। দু’হাতে জাদু দেখাচ্ছেন রাজেশ। নির্ভুল দ্রুততায় চলছে ডানহাত। মশলা আর তেঁতুলজল ভ’রে ফুচকা দিচ্ছেন শালপাতার পাত্রে। আবার কখনও সরে যাচ্ছেন পাশেই। উৎসাহী ক্রেতাকে অন্যহাতে শার্ট দেখাচ্ছেন। দরাদরির শেষে ক্রেতার পছন্দ হলে বাঁহাতেই দাম নিচ্ছেন। মুহূর্তেই ফিরছেন ফুচকায়!
১০ বছরের বেশি সময় ধরে একইসঙ্গে এই দু’টি ব্যবসা করছেন রাজেশ। ১০ টাকায় চারটি ধনিয়া ফুচকা। শার্টের দামও ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। কেন লোক রাখেন না? রাজেশের জবাব, ‘‘লোক রাখা মানে তাঁকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৫০০ টাকা দিতেই হবে। টানাটানির সংসার। সপ্তাহে ৫০০ টাকা বেরিয়ে গেলে সংসার চলবে না। তাই নিজেই দেখি।’’
মা, স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে রাজেশের সংসার। দুই মেয়ে এবং এক ছেলে স্কুলে পড়ে। বিকেল হলেই ফুচকা আর শার্টের পসরা সাজিয়ে বসেন রাজেশ। একই সঙ্গে দু’জায়গায় ভিড় হলে সামলান কীভাবে? রাজেশ বলেন, ‘‘সামলাতে হয়। নজর রাখতে হয় যাতে শার্ট চুরি না হয়ে যায়। বিকেলে আমার দাদা কিছুটা সময় সাহায্য করেন।’’
রাজেশের দাদা হৃদয় বলেন, ‘‘দু’টো ব্যবসা ভাই একাই চালায়। আমি শুধু কয়েকঘণ্টার জন্য সাহায্য করি। ও (রাজেশ) যদি শার্ট বিক্রিতে ব্যস্ত থাকে তখন আমি ফুচকার দিকটা সামলাই।’’
শুধু দাদা নন। রাজেশকে সাহায্য করেন ফুটপাথের অন্য বিক্রেতারাও। কারণ ‘সব্যসাচী’র জাদুতে সকলেই মুগ্ধ।
মন্তব্য চালু নেই