মুদ্রানীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে ২৪ জানুয়ারি। নতুন এ নীতি তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে ১৫ জানুয়ারি (রোববার) বিকালে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চিফ ইকোনোমিস্ট ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার ড. মো. ইজাজুল ইসলাম জানান, জানুয়ারিতে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর এর দ্বিতীয়ার্ধের মনিটরি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস) ঘোষণা করা হবে। তবে রোববার অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথমার্ধের ঘোষিত মুদ্রানীতির অর্জন এবং দ্বিতীয়ার্ধের প্রস্তাবিত মুদ্রানীতির বিষয়ে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ওই সময় আগামী জুন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়। তবে নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে প্রকৃত ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। ডিসেম্বর শেষেও ১৫ শতাংশের আশপাশে থাকবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। ছয় মাস অন্তর এ মুদ্রানীতি একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাইয়ে এবং অন্যটি জানুয়ারিতে।
দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
মন্তব্য চালু নেই