অর্থের অপচয় ঠেকাতে গড়ে তুলুন সাত অভ্যাস
১. চরম আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকা : বাজেটের প্রয়োজন নেই, আপনার যদি থাকে দারুণ আত্মনিয়ন্ত্রণ। চোখের সামনে যা দেখছেন তাই আপনার করে নিতে পারেন, যদি বাজেট না থাকে। বাজেটের পরিবর্তে কেনাকাটায় খরুচে স্বভাবের গলায় লাগাম নিন। আয় অনুযায়ী ব্যয়ের নীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে পারলে সব বিষয়ে বাজেটের দরকার নেই।
২. ঋণের জালে না জড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া : যেহেতু বাজেট নেই, কাজেই ঘন ঘন ক্রেডিট কার্ডটা ব্যবহার করা যেতে পারে। তা করতে মানাও নেই। কিন্তু বিপদে না পড়তে চাইলে শপথ নিন যে, আপনি ক্রেডিট কার্ডের অর্থ নিয়মিত পরিশোধ করে ঋণের ভার কাঁধে নেবেন না। অর্থাৎ, ইচ্ছেমতো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলেও কত খরচ করছেন বা কী পরিমাণ পরিশোধ করা যাবে তার হিসাব মাথায় রাখতে হবে।
৩. খরচের হিসাব নিয়মিত দেখা : কোন খাতে কখন কী পরিমাণ খরচ করছেন, তা নিয়মিত দেখে নেওয়ার অভ্যাস থাকলে বাজেট অপ্রয়োজনীয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন দেখুন, নোটে প্রতিদিনের খরচের হিসাব লিখে রাখুন। এই খাতা দেখে খরচের সীমা নির্ধারণ করে নিন।
৪. সীমার বাইরে খরচ হলে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া : হতেই পারে অতিরিক্ত অর্থ চলে গেছে। আবার নিয়মিত খরচটা হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতেই পারে। এমনটা হলে অপেক্ষায় না থেকে বা দুশ্চিন্তা না করে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পদক্ষেপ নিন।
৬. স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ বা ত্যাগ করা : বাজেট নেই বলেই যে পরিকল্পনা থাকবে না, তা নয়। অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বল্প সময়ের বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিন। প্রয়োজনে পুরনোগুলো ভেঙেচুরে নতুন কিছু গড়ে তুলুন। নির্ধারিত মেয়াদের হেরফের করুন। এভাবে অর্থ ব্যবস্থাপনাকে নিখুঁত রাখতে পারবেন বাজেট ছাড়াই।
৭. সঞ্চয় ও বিনিয়োগে কৌশল প্রয়োগ : যদি সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত পরিকল্পনা নিতে পারেন, তাহলে বাজেট ছাড়াই খরচ হিসাবের মধ্যেই চলে আসবে। এ জন্য সঞ্চয়ের অর্থকে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার খাতে ব্যবহার করতে পারেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও যাবতীয় পরিকল্পনা স্পষ্ট করে রাখুন।
মন্তব্য চালু নেই