তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের মারামারি, আহত ১
শাহিনুর রহমান শাহিন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট অনুষ্ঠানে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সিটে বসার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মওলানা ভাসানী হল শাখা ছাত্রলীগ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে মওলানা ভাসানী হল শাখা ছাত্রলীগ কর্মী মো. জহিরুল ইসলাম (পাবলিক হেলথ-৪১) কে পিটিয়ে আহত করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতা- কর্মীরা।
মঙ্গলবার রাত ১০.৩০ টার দিকে বটতলায় (খাবারে স্থান) এ মারামারি ঘটনা ঘটে।
পরে সাংবাদিকের সহয়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রাত ৯.৩০ টার দিকে মুক্তমঞ্চে কনসার্ট চলাকালে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কয়েকজন শাখা ছাত্রলীগ কর্মীর সাথে মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জহিরের (অর্থনীতি-৪৫) ও তার বন্ধুদের প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে চারিদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে উভয় পক্ষের মাঝে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এরপর রাত ১০.৩০ টার দিকে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার জন্য বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার অনুসারীরা মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগ নেতাদের বটতলায় আসতে বলেন। সমঝোতার জন্য ভাসানী হলের ছাত্রলীগ নেতারা বটতলায় এলে অর্তকিতভাবে বঙ্গবন্ধু হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী লোহার পাইপ ও রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাসানী হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে জহিরুল ইসলাম মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জহিরুলকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হক শাহীন বলেন, জহিরুলের শরীরের কয়েকস্থানে থেতলে গেছে। পায়ের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহু। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে এনাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
হামলায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, মিজান (প্রতœতত্ত্ব- ৪১), শিহাব (দর্শন-৪২), ইসতিয়াক ( প্রাণিবিদ্যা বিভাগ- ৪২), রাশেদ ( বোটানি, ৪২) ইসরাফিল (ভূগোল ও পরিবেশ- ৪২), দীপ (গণিত, ৪২) এবং নাজমুল (গণিত- ৪২), তারা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার অনুসারী বলে অভিযোগ করেন ভাসানী হলের ছাত্রলীগকর্মীরা।
এদিকে হামলার ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছেন ভাসানী হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এ হামলার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সাথে দেখা করেছে ভাসানী হল শাখা ছাত্রলীগ। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য বলে তারা জানিয়েছেন।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘ অভিযোগপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রক্টরিয়াল বডির জরুরি সভা শেষে প্রাথমিক একটি প্রতিবেদন প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের কাছে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হবে। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
মন্তব্য চালু নেই