১৯০৪-০৮ সালে গণহত্যা, জার্মানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা
উনিশ শতকের শুরুতে নামিবিয়ায় হেরেরো ও নামা নামের আদি জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার জন্য জার্মানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সময় নামিবিয়াতে জার্মানির উপনিবেশিক বাহিনীর হাতে প্রায় ১ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিলেন বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-র এক খবরে বিষয়টি জানা গেছে।
দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নামিবিয়ার সঙ্গে আলোচনা থেকে জার্মানি বাদীদের বাদ দিয়েছে। জার্মানি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে, যে কোনও সমঝোতায় নিপীড়িত গোষ্ঠীর কাউকে প্রত্যর্পণের সুযোগ দেওয়া হবে না। এমনকি নমিবিয়াকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
বাদীদের আইনজীবী কেন ম্যাকক্যালিয়ন এক ইমেইল বার্তায় গার্ডিয়ানকে বলেন, গণহত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নামিবিয়ার আদি জনগোষ্ঠীর উত্তরসূরীদের কাছে জার্মানির প্রস্তাবিত সহযোগিতা সরাসরি পৌঁছাবে এমন নিশ্চয়তাও নেই। ক্ষতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে কোনও সমঝোতা বা আপোষ রফা হতে পারে না।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৯০৪ থেকে ১৯০৮ সালের মধ্যে নামিবিয়ায় এ গণহত্যা সংঘটিত হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি তখন জার্মানির উপনিবেশ ছিল। হেরেরো ও নামা জনগোষ্ঠী জার্মান দখলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।
অভিযোগ রয়েছে, নির্বিচারে হত্যা ছাড়াও ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে বিদ্রোহী দুই জনগোষ্ঠীর ওপর। বন্দি করে নির্যাতন শিবিরে রাখা হয়েছে এবং অনেকেরই মাথা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করে জার্মানি।
অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, বিংশ শতাব্দীর প্রথম গণহত্যার ঘটনা এটি। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ হেরেরো জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
বৃহস্পতিবার বাদীদের দায়ের করার মামলাটি ১৭৮৯ সালের মার্কিন আইন অ্যালিয়েন টর্ট স্ট্যাচুর আওতায় করা হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
মন্তব্য চালু নেই